এই মুহূর্তে জেলা

করোনা নিয়ে চিত্রনাট্যের মাধ্যমে মানবিকাতাকে উজ্জীবিত করার প্রয়াস “চুঁচুড়া আরোগ্য”র ।

সুদীপ দাস , ১৯ জুলাই:- করোনা আক্রান্ত হওয়ার অপরাধে প্রতিবেশীদের তিরস্কার স্মরূপ ইট-পাটকেল পরছে বাড়িতে। দিন কয়েক আগে এই খবর আসতেই রাতের ঘুম উড়েছিলো এলাকার কো-অর্ডিনেটর তথা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “চুঁচুড়া আরোগ্য”র পৃষ্ঠপোষক ইন্দ্রজিৎ দত্তর। সেদিন রাতে চুঁচুড়া থানায় খবর দিয়ে কোনরকমে পরিস্থিতি সামলেছিলেন ইন্দ্রজিৎ বাবু । গোটা রাজ্যজুড়ে এধরনের বিক্ষিপ্ত খবর প্রায়শই ঘটলেও নিজের এলাকায় ঘটা এই ঘটনার পরই ইন্দ্রজিৎবাবু ভাবেন আর দেরী নয়, এবারে কিছু একটা করতেই হবে। এবারে মানুষকে সচেতন করতে হবে। আর তা যদি হয় চিত্রনাট্যের মাধ্যমে তাহলে হয়তো অনেকের মানবিকাতাকে উজ্জীবিত করা যাবে। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। ইন্দ্রজিৎ দত্তের কথা মত গোটা আরোগ্যর স্বেচ্ছেসেবকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমে পরেন। আরোগ্যর সদস্য অরিজিত দাস মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যেই গল্প লিখে ফেলেন। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেই গল্প নিয়েই শুরু হয় রিহার্স্যাল।

আরোগ্যর সদর সপ্তরে এদিন রাতেই মঞ্চস্থ হওয়া গোটা নাটক রেকর্ডিং হয়। আর এদিন গভীর রাত পর্যন্ত বসে সেই নাটক এডিটিং-ও করা হয়। আজ সেই চিত্রনাট্যেরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ ঘটলো। এদিন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানে আরোগ্যর সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রশাসক গৌরিকান্ত মুখার্জী, চুঁচুড়া থানার আই.সি প্রদীপ দাঁ সহ বিশিষ্টজনেরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিনের এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। টিভি স্ক্রিনে ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই ছোট চিত্রনাট্য দেখে যথেষ্ট উৎসাহ প্রকাশ করেন চুঁচুড়া থানার আধিকারিক প্রদীপ দাঁ। আশাব্যাঞ্জক এই চিত্রনাট্য দেখে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই নাটক টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেন পুরপ্রশাসক গৌরিকান্ত মুখার্জী। ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন করোনাকে হারাতে মানুষকে যেমন সচেতন হতে হবে ঠিক তেমনই মানবিকও হতে হবে। কারন রুগীর বিরুদ্ধে নয় আমাদের লড়াই অতিমারী এই রোগের বিরুদ্ধে।