এই মুহূর্তে জেলা

মাধ্যমিকে হুগলি জেলাতেও বেশ কয়েকজন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

সুদীপ দাস , ১৫ জুলাই:- বিগত বছরগুলির মত এবারেও পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলাগুলির জয়জয়কার। অন্যান্য জেলাগুলির সাথে হুগলি জেলারও বেশ কয়েকজন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সোহম দাস ৬৮৭ নম্বর পেয়ে সমগ্র রাজ্যে সম্ভাব্য ষষ্ঠ স্থান দখল করে হুগলি জেলায় প্রথম স্থান দখল করেছে। মানকুন্ডুর বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতি সন্তোষ ও বৈশাখির একমাত্র সন্তান সোহমের প্রিয় বিষয় গনিত। আগামি দিনে গনিত নিয়েই পড়াশুনা করে এগিয়ে যেতে চায় সোহম। দূরদর্শনের পর্দায় সোহমের নাম উচ্চারিত হওয়ার পর থেকেই খুশির হাওয়া দাস পরিবারে। তবে করোনার সাবধানতা অবলম্বন করে গৃহবন্দী অবস্থাতেই হলো সোহমের অনারম্বর মিষ্টিমুখ অনুষ্ঠান। প্রাথমিক স্তরে অঙ্কে খুব একটা পারদর্শী না হলেও দাদু মহাদেব দত্তের হাত ধরেই অঙ্ককে আপন করে নেয় সোহম।

বর্তমানে অঙ্কই তাঁর প্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে। বাবা-মায়ের পাশাপাশি সোহমের মোট ৩ জন গৃহশিক্ষক ছিলো। সোহম পড়াশুনার বাইরে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতে ভালোবাসে। অন্যদিকে, ৬৮৬ নম্বর পেয়ে চন্দননগর কৃষ্ণা ভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের ছাত্রী সুহা ঘোষ রাজ্যে সম্ভাব্য ৭ম স্থান অধিকার করে জেলায় কৃতিদের মধ্যে ২য় স্থানে। চন্দননগর ফটকগোড়ার বাসিন্দা পেশায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মী সুকান্ত ঘোষ ও গৃহবধু শোভা ঘোষের একমাত্র সন্তান সুহার আগামিদিনের ইচ্ছা পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষনা করা। পড়াশুনার পর ছবি আঁকা ও কাগজের তৈরী হাতের কাজকেই প্রাধান্য দেয় সুহা। প্রত্যকটি বিষয়েই একজন করে গৃহশিক্ষক থাকলেও সময় পেলেই সুহার বাবা তাঁকে বিজ্ঞান ও অঙ্ক দেখাতো। করোনার জেরে সুহার বাড়িতেও অনারম্বর উচ্ছ্বাস। বন্ধ ঘরেই বাবা-মায়ের সাথে আনন্দ উপভোগ করে সুহা। আগামিদিনে সুহার ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিতে চায় তাঁর বাবা-মা।

অন্যদিকে আরামবাগের বদনগঞ্জ সারদামনি বালিকা বিদ্যালয়ের সম্প্রীতি কুন্ডুও ৬৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে সম্ভাব্য ৭ম স্থান দখল করেছে। সম্প্রিতির বাড়িতে এদিন শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন গোঘাটের বিধায়ক মানষ মজুমদার। ফুলের তোড়া দিয়ে বিধায়ক এদিন স্প্রীতিকে শুভেচ্ছা জানায়। এদিকে পান্ডুয়ার মহানাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অদ্বিতীয়া পান্ডে ৬৮৩ নম্বর পেয়ে ১০স্থান অধিকার করেছে। পোলবার ভৈরবপুরের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবি অলোকেশ পান্ডের মেয়ে অদ্বিতীয়ার আগামিদিনে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা। পাশাপাশি গ্রামে থেকে মহিলাদের স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো নিয়েও কাজ করতে চায় অদ্বিতীয়া। এদিন অদ্বিতীয়ার বাড়িতে এসে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান পান্ডুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত দাস। অন্যদিকে, উত্তরাড়ার মেঘা মন্ডল ও সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়ও ৬৮৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় ১০ স্থানে রয়েছে।