এই মুহূর্তে জেলা

“দু” চাকায় বাজিমাত।

তরুণ মুখোপাধ্যায় , ১১ জুন:- করোনার মতন ব্যাধিকে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। এই সত্যি কথাটা বুঝে গেছেন সাধারণ মানুষ । গত তিন মাস ধরে লকডাউন এর পর সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোতে কাজ শুরু হয়ে । গেছে কিন্তু ট্রেন চলাচল এখনো শুরু হয়নি । অথচ কর্মীদের দপ্তরে যেতে হবে। যার জন্য কলকাতার সংলগ্ন যে জেলাগুলোর রয়েছে হাওড়া , হুগলি ,চব্বিশ পরগনা প্রভৃতি স্থান থেকে বহু মানুষ তাদের কর্মস্থলে পৌঁছবার একমাত্র বাহন হচ্ছে সাইকেল। সাইকেলকে সঙ্গী করেছেন এমনই একজন রিষড়া নয়াবস্তি বাসিন্দার আনন্দ গুপ্ত । পয়সা জোগাড় করে সাইকেল একটি কিনেছেন । প্রতিদিন সেই সাইকেল করে ৪৬ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করছেন। কলকাতা কর্পোরেশনের হেলথ ডিপার্টমেন্টের কর্মী আনন্দ জানালেন যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে হবে।

তাই ভয় না পেয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে । শুধু রিষড়ার আনন্দ নয় এমনি প্রতিদিন জি টি রোড দিয়ে দেখা যায় বহু মানুষ চলেছেন কর্মস্থলে। যাদের স্কুটি মোটরবাইক আছে তারা তো সেগুলো ব্যবহার করছেন । কিন্তু অধিকাংশ মানুষ আজকে এই সংকটময় সময়ে সাইকেল কেই বেছে নিয়েছেন। এমন একটা সময় ছিল যখন সাইকেলেই ছিল আমাদের প্রধান যান । কিন্তু একটা সময় আসে যখন শহর অঞ্চলে সাইকেলের পাঠ প্রায় উঠেই গিয়েছিল । লকডাউনের পর কিন্তু ক্রমশ বিশেষ করে সাইকেল চলাচলের ওপর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে যানবাহনের অভাবের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাময়িকভাবে কলকাতার রাস্তায় সাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে । এবং তাতেই সওয়ারি হয়ে মানুষজন পৌঁছে যাচ্ছেন তাদের গন্তব্য স্থল কর্মক্ষেত্রে।