এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ার শালিমারে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরপিএফ কর্মী। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে তদন্তের কাজ এগোতে চায় পুলিশ।


হাওড়া, ৬ জুন:- হাওড়ার শালিমারে বৃদ্ধকে নৃশংস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ানকে। ধৃতের নাম সুকান্তকুমার সাউ। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ওই আরপিএফ কর্মীকে আটক করা হলেও পরে তাঁকে গ্রেফতার করে শিবপুর থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের ধারায় (৩০২) মামলা রুজু করেছে। শনিবার অভিযুক্তকে হাওড়া আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেবে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত গুণনিধি সাউ(৭৫) এর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল সুকান্তের উপর। তাঁর কথায় বিস্তর অসঙ্গতি দেখে শুক্রবারই আটক করা হয় সুকান্তকে। থানায় নিয়ে আসার পর থেকেই চলে জেরা। ম্যারাথন পুলিশি জেরায় অবশেষে ভেঙে পড়েন তিনি। সুকান্তকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রমাণ লোপাট করতেই খুনের পর বৃদ্ধের মাথা ভারি কিছু দিয়ে থেঁতলানো হয়। মাথা দেহ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। মৃতের শরীরে অজস্র কোপানোর চিহ্ন মিলেছে। প্রবল আক্রোশ থেকেই এমন খুন বলেই পুলিশের অনুমান।

দেহটি উদ্ধার হয় শুকিয়ে যাওয়া নালা থেকে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না, এত টাকা ধার নেওয়ার প্রয়োজন হল কেন প্রভৃতি একাধিক ব্যাপার এখন তদন্ত করে জানতে চাইছে পুলিশ। এর জন্য অভিযুক্তকে পুলিশ নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে আদালতে। উল্লেখ্য, পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে এনে বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ওই আরপিএফ কর্মীর কাছে বৃদ্ধের পাওনা ছিল আট লক্ষ টাকা। সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ৭৫ বয়সী এক বৃদ্ধকে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। হাওড়ার শালিমারের ১নম্বর গেটের কাছ থেকে শুক্রবার উদ্ধার হয় বৃদ্ধ গুণনিধি সাউ(৭৫) এর দেহ। গত কিছুদিন ধরেই গুণনিধিবাবু ওই টাকা সুকান্তের কাছ থেকে ফেরত চাইছিলেন। গত বুধবার সস্ত্রীক ওই আরপিএফ কর্মী গুণনিধিবাবুর বাড়িতে যান। তাকে নিজের শালিমারের কোয়াটার্সে ডাকেন টাকা নেবার জন্যে। তার সেই কথায় বুধবারই শালিমারে আসেন গুণনিধিবাবু। এরপর তিনি খুন হন। শুক্রবার দুপুরে দেহ উদ্ধার হয়।