এই মুহূর্তে জেলা

ডাক্তার চেম্বার বন্ধ , অসহায় রোগীরা।

 

হুগলি,১ মে:- বর্তমানে এখন একটাই রোগ করোনা, এই করোনায় আক্রান্ত রোগী ছাড়া এখন সব মানুষই কি সুস্থ্য..? বাকি মানুষের কি কোন রোগ নেই..? এমনই করুন অসহায় কান্নায় জিগ্যাস্য শ্রীরামপুরের তিন নং কলোনির বাসিন্দা বনানী সাহার। বছর কয়েক হলো তার স্বামীর প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, প্রতি মাসেই চেক আপ হয় , চেক আপ না করলেই বাড়াবাড়ি হয়ে যায় তার স্বামীর। লকডাউনের মধ্যেই তাদের দেখানো ডাক্তার বাবুর চেম্বার বন্ধ হয়ে গিয়েছে এক মাসের ওপর হয়ে গেলো।এই তো সেদিন রাতে খুবই প্রয়োজনে কোনো রকমে একটি টোটো জোগার করে স্বামীকে নিয়ে অন্য একটি ডাক্তার চেম্বারে যান তিনি, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন বড় একটি তালা ঝুলছে।উপায় না দেখে তাদের দেখানো ডাক্তার বাবু কে ফোনে বিষয়টি জানিয়ে বাড়িতে আসার অনুরোধ করেন অসহায় বনানী দেবী । কিন্তু কোন অনুরোধেই কাজ হলো না, ডাক্তারবাবু এলেন না বাড়িতে, তাই উপায় না দেখে ডাক্তার বাবুর ফোনেই বলে দেওয়া ওষুধ স্বামীকে দেন বনানী দেবী। সে যাত্রায় প্রান রক্ষা হলেও, তার একটাই অনুরোধ অবিলম্বে ডাক্তারদের চেম্বার খুলুক, শুধু তার স্বামীই নয় এমন বহু  রোগী রয়েছে তাদের এখনই ডাক্তার দেখানো উচিত । বনানী দেবীর মতো একই অবস্থা এখন বেশিরভাগ মানুষেরই।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                  করোনা বাদেও বহু মানুষ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন,তাই সবাই চাইছে ডাক্তার চেম্বার খোলা নিয়ে নিয়ে এখনই সরকার সিদ্ধান্ত নিক।এক নামকরা চিকিৎসক জানান করোনা জন্য এখন আর চেম্বারে বসছি না, কারন রোগীরা করোনা উপসর্গ নিয়ে এলে একটু ভুল হলেই মারাত্মক বিপদে পরে যাবে আমি ও আমার পরিবার, সুরক্ষার কথা উঠলে পিপিই পরে রোগী দেখা উচিত, কিন্তু সেই পিপিই র একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পাল্টাতে হয়।এছাড়া এখন কম পরিমানে রোগী দেখা উচিত, পিপিই কেনা ও পাল্টানোয় চেম্বার চালানোর খরচ বাড়ছে,চাইলে বেশি ভাগ রোগীরা এখন দিগুণ ফিস দিতে চাইবে না তাই এখন চেম্বারে না বসাই ভালো। এদিকে শহরেরই নামকরা চিকিৎসক ডা: পি কে দাস অবশ্য এর উল্টো পথে হেঁটে নিজের বাড়ির চেম্বার নিয়মিত খোলা রেখেছেন। তিনি জানান লকডাউনে করোনার ভয়ে প্রথম প্রথম চেম্বার বন্ধ রেখেছিলাম, কিন্তু যত দিন গিয়েছে রোগী ও রোগীর পরিবারের ফোন আসছে,তাই বহু অসহায় মানুষের মুখের দিকে এখন তাকিয়ে প্রতিনিয়ত চেম্বার খুলছেন তিনি এবং রোগীও দেখছেন।তিনি জানান সঠিক  সুরক্ষা নিয়ে, সোশ্যাল ডিস্টেন্সসিং মেনে নিয়ম মাফিক রোগী দেখা যেতেই পারে। এই কঠিন সময়ে তিনি বাকি ডাক্তারদেও চেম্বারে বসতে অনুরোধ করেছেন। যদিও সবাই ডা: পি কে দাস নয়, বিভিন্ন রোগের স্পেশালিস্ট ডাক্তার রয়েছে, সাধারন মানুষ চাইছেতারা যেনো এই কঠিন সময়ে একটু মানবিকতার পরিচয় দিক।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.