এই মুহূর্তে জেলা

লক ডাউনের জেরে একের পর এক পুজো বাতিল হতেই ঘুম উড়ছে মৃতশিল্পীদের।

হুগলি ,৩১ মার্চ:- লক ডাউনের জেরে একের পর এক বাসন্তী,ভবানী,অন্নপূর্ণা ও মহাবীরের পুজো বাতিল হতেই ঘুম উড়ছে মৃতশিল্পীদের।প্রতিমা তৈরির বরাত দিয়েও শেষ মূহুর্তে পুজো উদ্যোক্তারা পুজো বাতিল করায় কয়েক লক্ষ টাকা লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন মৃতশিল্পীরা। শ্রীরামপুরের চাতরা কুমোড় পাড়ায় প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার মাটির প্রতিমা তৈরি করেন। শিল্পীরা জানিয়েছেন চৈত্র মাসে অন্নপূর্ণা, বাসন্তী ,ভবানী ও মহাবীরের সঙ্গে রামনবমীর পুজো থাকে। প্রত্যেক শিল্পী কমবেশি প্রতিমা তৈরির বরাত পান।শিব রাত্রির পর ফাল্গুন মাস থেকেই অন্নপূর্ণা ,ভবানী ও মহাবীরের প্রতিমা তৈরির কাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়। আবার বাসন্তী প্রতিমা দুর্গার আদলে হওয়ায় ঠাকুরের আয়তন বড় হয়।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                             প্রতিমার দাম ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ হাজার পর্যন্ত হয়। কিন্তু স্থায়ী কিছু মন্দির ছাড়া বারোয়ারী ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলা পুজো গুলি বাতিল হয়েছে। শিল্পীরা বলেন,করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রথমে যখন ২৭ তারিখ পর্যন্ত লক ডাউনের কথা ঘোষনা করা হয় তখন উদ্যোক্তারা ২৪ তারিখেও আমাদের জানিয়ে দেন পুজো তারা করবেন। কিন্তু লক ডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার পরেই উদ্যোক্তারা পুজো করবেন না বলে জানিয়ে দেন। তাতেই পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। মৃৎশিল্পীরা উদ্যোক্তাদের বাড়িতে গেলে উদ্যক্তারা বলেন, লক ডাউনে দোকান বাজার সব বন্ধ। তাতে পুজোয় প্রতিমা ছাড়াও অন্যন্য সামগ্রী যেমন ফল, দশকর্মা ও মিষ্টান্নর মতো দরকারি সরঞ্জাম মিলবে না। তাছাড়া পুজো হলে মানুষের ভিড় বাড়বে। সেই কারণেই পুজো বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।উদ্যোক্তাদের মুখে একথা শোনার পরেই নিরাশ হয়ে পরেন মৃৎশিল্পীরা। শ্রীরামপুর চাতরা কুমোড় পাড়ার প্রখ্যাত শিল্পী স্বপন পাল বলে, প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ঠাকুর বানাচ্ছি।কখনো এধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়িনি। করোনা মোকাবিলায় লক ডাউনে আমাদের মতো শিল্পীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছে। সোমবার থেকে ভবানী ও বাসন্তী পুজোর ষষ্ঠী। প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে সবাই বলছে পুজো করবে না।আমি বাধ্য হয়ে অনেক কে ফোন করেছি বাড়িতেও গিয়েছি।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                      কিন্তু সকলেই বলছেন লক ডাউনে পুজো করা সম্ভব নয়। এবারে ভবানী,বাসন্তী,অন্নপূর্ণা ও মহাবীর সহ প্রায় ৪০টি প্রতিমার বরাত পেয়ে ছিলাম।তারমধ্যে শ্রীরামপুরের ৩টি ও রিষড়ার ২টি মন্দিরে অন্নপূর্ণা পুজো হবে। বাকি প্রতিমা গুলি পড়ে থাকবে।স্বপনের কথায় প্রতিমা ভেঙে যে অন্য প্রতিমা গড়ব তার ও কোন উপায় নেই।লক ডাউনে আমার মতো শিল্পীর প্রায় ৬ লক্ষ টাকা লোকসান হবে।জানিনা কী ভাবে এই ঘাটতি পূরণ হবে।মাহেশের মৃৎশিল্পী দেবব্রত ঘোষ বলেন,আমরা গুটিকয়েক ঠাকুর বানিয়ে ছিলাম। কিন্তু কাজ শেষ করার আগেই লক ডাউন হয়ে যায়।তাতে আমাদের অল্প লোকসান হয়েছে।প্রত্যেকবার অন্নপূর্ণা পুজো করেন ডানকুনির আনন্দ নিকেতনের সদস্যা ঝুলন চক্রবর্তী।কিন্তু করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে পুজো বাতিল করেছেন।ঝুলন বলেন, পুজো মানেই ধর্মীয় আবেগ। অনেক মানুষ ভিড় করবেন যেটা স্বাস্থ্য সন্মত নয়।সেই কারণেই পুজো বাতিল করেছি।

There is no slider selected or the slider was deleted.