হুগলি,২৯ ডিসেম্বর:- ছোট থেকেই নিয়ম করে তিনি হাঁটতেন,দৌড়াতেন।স্কুলে তাঁর খেলাধুলার প্রতিভা দেখে মুগ্ধ ছিলেন তাঁর শিক্ষকরাও।বড় হয়ে ট্রাক এন্ড ফিল্ডে নাম করবেন,এই আশাতেই বিদ্যালয় স্তর থেকেই বিভিন্ন ইভেন্টে নাম দিতেন কোন্নগরের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।সাইয়ের দুই কোচের তত্ত্বাবধানে শিখতেও থাকেন তিনি।দুই ভাইয়ের বড় অভিজিৎ যখন মাধ্যমিক দিচ্ছেন তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর বাবা।সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে অভিজিতের ঘাড়ে।কিন্তু খেলাধুলার জগৎ থেকে সরে আসেননি তিনি।জেদ ও অধ্যাবসায় তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছে অ্যাথলেটিক ফিল্ডে।মূলত হাঁটা প্রতিযোগীতাতেই অংশ নিতে থাকেন অভিজিৎ।প্রথম সুযোগ আসে ১৯৯২ সালে।রাজ্য স্টেট মিটে অংশ নেন অভিজিৎ।
৪২ তম রাজ্য অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটাতে ব্রোঞ্জ পান তিনি।এর ঠিক পরের বছর এই প্রতিযোগিতায় আবার ব্রোঞ্জ পান অভিজিৎ।সারাবাংলা ক্রস কান্ট্রি ৫ কিলোমিটার দৌঁড়ে অষ্টম হন তিনি।সংসারের পুরো দায়িত্ব সামলেও কখনো থেমে থাকেনি তার হাঁটা।এবছর ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেয়া হয় অভিজিৎকে।একের পর এক রাজ্য মিটে অংশ নিয়ে সাফল্য পেয়েও উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে কোন্নগরের অরবিন্দ পল্লীর বাসিন্দা অভিজিৎ।চল্লিশ পেরিয়েছেন অভিজিৎবাবু।সাংসারিক চাপ সামলাতে তাকে বেছে নিতে হয়েছে হকারিকেও।হাওড়া মেন লাইনের ট্রেনে পাপড়ের থলে হাতে হকারি করেন অভিজিৎ।বালি জুটমিলে অস্থায়ী কাজও করেন সংসার চালাতে।আয়ও যৎসামান্য।এখনো নিয়ম করে চালিয়ে যাচ্ছেন হাঁটা।বিভিন্ন প্রতিযোগীতাতেও অংশ নেন তিনি।এতগুলো রাজ্য মিট করার পর সম্প্রতি তার কাছে সুযোগ এসেছে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার। আগামী ১০ই জানুয়ারি ২০২০ কেরলে আয়োজিত হতে চলেছে জাতীয় মাস্টার্স অ্যাথলেটিক মিট।সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কোন্নগরের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে।৭ই জানুয়ারি কোলকাতা থেকে বাকি অ্যাথলিটদের নিয়ে যাওয়া হবে।কিন্তু অভিজিৎ যাবেন কেমন করে ? তার যে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা।ভারতবর্ষের অত দূরের একপ্রান্তে গিয়ে জাতীয় অ্যাথলিট মিট করবেন,এমন অবস্থা যে নেই তার।একটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছেন অভিজিৎবাবু।উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল থেকে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দ্বারস্থ হয়েছেন , এমনকি নবান্নের দারস্থও হয়েছেন তিনি।কিন্তু কোনো কাজ জোটেনি এই অ্যাথলিটের।তার মধ্যে আবার জাতীয় মিট।সময় খুবই অল্প। তাই অভিজিৎবাবু ভেবে উঠতে পারছেননা কি করবেন।শেষ পর্যন্ত কি অর্থাভাবে তার জাতীয় মিটে যাওয়া স্থগিত হয়ে যাবে? এখন একটা স্পনসরের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন অভিজিৎবাবু । তা সে স্পনসর সরকারি হোক বা বেসরকারি । জাতীয় মিটে যাওয়ার জন্য সাহায্যের আশায় দিন কাটছে অভিজিৎবাবুর।Related Articles
মাধ্যমিকে গার্ড দিতে এসে অসুস্থ চুঁচুড়ায় শিক্ষিকা।
হুগলি, ৩ ফেব্রুয়ারি:- মাধ্যমিক পরীক্ষার গার্ড দিতে এসে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হলেন এক শিক্ষিকা! ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়া নারী শিক্ষা মন্দির স্কুলের। আজ ছিল মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হতেই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন শিক্ষিকা অর্পিতা মল্লিক। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানেই ওই শিক্ষিকা চিকিৎসাধীন। চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ের বাসিন্দা শিক্ষিকা জানান, অন্তঃসত্ত্বা […]
সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য এবং কমিশন।
কলকাতা, ১৬ জুন:- সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য এবং কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে দায়ের হতে চলেছে মামলা। আজ রাত বা কালকের মধ্যেই হবে ই-ফাইলিং করা হবে। সোমবার সুপ্রিমকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ এর সম্ভবনা। গতকাল হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সব জেলায় সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই, দায়ের হতে চলেছে মামলা। Post Views: 431
পাঁচ বছরে উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান হিসাবে রিপোর্ট কার্ড মানুষের হাতে তুলে দেবে রিষড়া পুরসভা।
তরুণ মুখোপাধ্যায়, ৩১ ডিসেম্বর:- বিগত পাঁচ বছরে রিষড়া পৌরসভার কি ধরনের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছে তারই রিপোর্ট কার্ড রিষড়াবাসীর হাতে তুলে দিতে চলেছে বর্তমান পুরবোর্ড। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে রিষরা পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র জানান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং অনুপ্রেরণায় সারা বাংলা জুড়ে যে উন্নয়নমূলক কাজের জোয়ার বইছে তা থেকে বাদ যায়নি […]









