এই মুহূর্তে জেলা

সন্মানের ভিক্ষাবৃত্তিতে তালা ; লকডাউন কেড়েছে জীবনের ১৬আনা !!

সুদীপ দাস , ২৭ মে:- সোম থেকে রবি টানা সাতদিন ছিলো তাঁদের কাজ। এ-মার্কেট থেকে সে-মার্কেটের দোকান ;পায়ে হেটেই জোগান হতো রুজি-রুটির! জামা – কাপড় থেকে ঔষধ , প্রসাধনী বিভিন্ন দোকানের কাউন্টারেই রাখা থাকতো তাঁদের ১৬ আনা। দোকানদার ও বেশ গুছিয়েই সেই কয়েনগুলি তাঁদের জন্য আলাদা করে রাখতো। কেউ সে দোকানে সকালে তো কেউ সেই দোকানেই বিকেলে গিয়ে চাওয়ার আগেই নিজেরটা বুঝে নিয়ে পুটুলিতে পুরতো। সময় নষ্ট করে এঁর -ওঁর কাছে হাত না পেতে ভিক্ষাবৃত্তি হলেও এটাকেই তাঁরা সন্মানের কাজ হিসাবে ধরে নিয়েছিলো। প্রতিদিন কমবেশী ৪০০ টাকার কয়েন হলেই কোন দোকানে গিয়ে নোট করে তাঁরা রেলওয়ে প্লাটফর্ম কিংবা রাস্তার ধারে নিজেদের কুটুরিতে ফিরতো। কিন্তু লকডাউন তাঁদের জীবিকাতেও থাবা বসিয়েছে। টানা ২মাসের বেশী মার্কেট বন্ধ থাকায় তাঁদের কয়েন তোলাও হয়নি। তবে এ-কদিনে অনেকবারই তাঁদের কুটুরির সামনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসে রান্না করা খাবার দিয়ে গেছে। আর যেদিন অধীর আগ্রহে বসে থেকেও কেউ আসেনি সেদিন কখন যেন জল খেয়েই ঘুমিয়ে পরেছেন তাঁরা। বর্তমানে লকডাউন অনেকটাই শিথিল হয়েছে , খুলেছে দোকানপাট ; তবে এখন কেন কাজে বের হচ্ছেন না ? সে প্রশ্নের উত্তরে রেলওয়ে প্লাটফর্মে বিষন্ন মুখে বসে থাকা সুমন , মহিউদ্দিন , বাদল , রমাদের বক্তব্য এতদিন দোকান বন্ধ ছিলো ; মালিকের অবস্থা কি আর আগের মত আছে , যে আমাদের জন্য সেই ১৬ আনা কাউন্টারের পাশে গুছিয়ে রাখবে……???

There is no slider selected or the slider was deleted.