কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর:- রাজ্যের মানুষের স্বার্থে এবং রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে,কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে জোটবদ্ধ হয়ে দাবি পূরণ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীস্নেহাশীষ চক্রবর্তী। তার মতে, যখনই রাজ্যের পাওনা গণ্ডা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা দিল্লির দরবারে সরব হন, তখন নেহাতই রাজনৈতিক বিরোধিতার স্বার্থে এ রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদরা রাজ্যের বিরোধিতা করে বিজেপি নেতৃবৃন্দের পাশে দাঁড়ান। এটা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। বিগত দিনে এ রাজ্যের বর্ডার এলাকাগুলিতে বি এস এফ এর কাজের ক্ষমতার জন্য এলাকা বৃদ্ধি করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। বর্ডার এলাকা থেকে কোনো অনুপ্রবেশ হচ্ছে কিনা বা অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করা হচ্ছে কিনা সেটাই দেখার দায়িত্ব বি এস এফ এর। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত তাদের কাজের পরিধি নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। এখন তা বৃদ্ধি করে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এটার কোন প্রয়োজনই ছিল না।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব এ রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর। পুলিশ বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টার অঙ্গ হল এই এলাকাবৃত্তি করার প্রয়াস।রাজনীতির আঙিনায় নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে তাদেরন্ত পূর্বের রাজনৈতিক আন্দোলন এর ইতিহাস থাকা উচিৎ । দুঃখের বিষয় হলো এ রাজ্যের বিজেপি দলটির কোনো পূর্ববর্তী ইতিহাস নেই যাকে সামনে রেখে ওরা মানুষের দরজায় পৌঁছবে। কটাক্ষ স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর। বিজেপি নেতারা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওরা কেবলমাত্র মিডিয়াতেই রয়েছে। মিডিয়াতে রোজ রোজ মুখ দেখালে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে গেলে রাস্তায় নেমে নেতৃত্ব দিতে হবে বলেও এদিন জানান তিনি।বিজেপি একটা আগাপাস তলা দুর্নীতি পরায়ন দল। ওরা অন্যান্য দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা বলে কি করে? এরাজের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় অনেক নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নোট বন্দি থেকে শুরু করে ব্যাংক জালিয়াতি সবের সঙ্গেই কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের একাধিক নেতা-নেত্রী জড়িত। তাই ওদের কাছ থেকে নীতিকথা না শোনাই ভালো