সুদীপ দাস , ২২ মার্চ:- এতবড় একটা কর্মকান্ডে এরকম ধরনের হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেইসমস্ত জলঘোলা একেবারে ঠান্ডা লেগে জল স্থিতিশীল হয়েছে, জল এখন শান্ত, সুনির্মল হয়েছে। বিজেপির টিকিট পাওয়ার পর দলীয় কর্মীদের অসন্তোষ প্রসঙ্গে মত সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের। সোমবার চন্দননগর মহকুমা শাসক দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন সিঙ্গুরের মাষ্টারমশাই। চন্দননগরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সারেঙ সহ অন্যান্যরা। সিঙ্গুর বিধানসভায় এবার রবীনবাবুর লড়াই বেচারামের সাথে। একদা রবীনবাবুর ছাত্র ছিলেন বেচারাম। সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের সময় দু’জনে হাতেহাত মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের সৈনিক ছিলেন। এবারে বয়সের কারন দেখিয়ে রবীনবাবুকে তৃণমূলের টিকিট দেওয়া হয়নি।
যার জেরে রবীনবাবু তৃণমূলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে নাম লেখান। যে দল বয়সের অজুহাতে লালকৃষ্ণ আদবানীকে টিকিট দেয়নি সেই বিজেপি কিন্তু ৯০ বছরের রবীনবাবুকে সিঙ্গুরের টিকিট দিতে কার্পন্য করেননি। তবে মাষ্টারমশাই টিকিট পাওয়ার পর থেকেই সিঙ্গুর জুরে আন্দোলনে সামিল হয় বিজেপির পুরনো কর্মীরা। তাঁদের আন্দোলন সিঙ্গুর ছাড়িয়ে প্রথমে হুগলী সাংগঠনিক জেলা পার্টি অফিস এবং পরে কোলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির রাজ্য নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছয়। কিন্তু তারপরও রবীনবাবুর টিকিট বাতিল করা হয়নি। সোমবার সেই রবীনবাবুই বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন। বাম আমল থেকে সিঙ্গুরে তৃণমূল বিধায়ক রবীনবাবু আজ দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে। সেই রবীনবাবু মনোনয়ন জমা দিতে এসে বললেন গনতন্ত্রের নিয়মই হচ্ছে পরিবর্তন। এখন দেখার মাষ্টারমশাই-ছাত্রের লড়াইয়ে সিঙ্গুরের মাটি ব্যাক্তি না দল কার পরিবর্তন করে!