হুগলি,২৫ জানুয়ারি:- চন্দননগর হাসপাতালে অমানবিক চিত্র ধরা পড়ল এক মৃতদেহকে কেন্দ্র করে। সকালে চন্দননগর তেমাথায় বংগবিদ্যালয়ের সামনে এক ব্যক্তিকে রোয়াকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানিয়রা তড়িঘড়ি রিক্সাতে উঠিয়ে চন্দননগর হাসপাতালের উদ্যেশ্যে পাঠিয়ে দেয়। রিক্সা চালক শ্যামল দাস প্রায় এক ঘন্টা ধরে ওই অপরিচিত ব্যাক্তিকে নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। কিন্তু হাসপাতালের কোনো হেলদোল নেই। সাংবাদিকরা ওয়ার্ড মাস্টার তরুন বাবুকে এই ব্যক্তিকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বললে চলতে থাকে বাক বিতন্ডা।
তরুনবাবু জানায় এই কাজ তার নয়।এরপর পুলিশের মধ্যস্থতায় এমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। কেন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ রকম ঘটনা ঘটল সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের আচরন মেনে মেনে নেওয়া যায় কি।এর কিছুক্ষন পর চলে আসে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশিরা।হাসপাতালের এক কর্মী ও পরিবারের লোকেরা জানায় সকালে খুব ঠান্ডার জন্য এই ঘটনা ঘটল।মৃত ব্যক্তির নাম পাচু চক্রবর্তী বয়স ৭৬. বাড়ি দিনেমারডাংগায়।হাটখোলার এক আবাসনে রাতে সিকিউরিটির কাজ করে বাড়ি ফিরতে গিয়ে অসুর হয়ে পড়ে।পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।