হুগলি, ৯ আগস্ট:- দিন কয়েক আগেই সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোন সম্মোধন করে নিজেদের দ্বন্দে ইতি টানতে চেয়েছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। শনিবার রাখি পূর্ণিমার দিন অসিত নিয়ে কিছুটা নমনীয় হলেও হুগলি বালিকা বাণী মন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়ালেন রচনা। এ দিন চুঁচুড়ার পিপুলপাতি মোড়ে রাখি বন্ধন উৎসবে উপস্থিত হয়ে সাংসদ বলেন, “উনি (ধৃতি) একজন প্রধান শিক্ষিকা কখনও আজেবাজে বানিয়ে কথা বলবেন না। তিনি যে অপমানের সম্মুখীন হয়েছেন, তিনি যেটা বাস্তবে ফেস করেছেন, সেটাই তিনি সবার সামনে বলেছেন। উল্লেখ, গত সপ্তাহে বাণী মন্দির স্কুলে নিজের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় স্মার্ট ক্লাসের কাজের তদারকি করতে গিয়েছিলেন সাংসদ। তখনই প্রধান শিক্ষিকা সাংসদকে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, বিধায়ক স্কুলে এসে অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করে স্মার্ট ক্লাসের কাজ বন্ধ করে দিতে বলেছেন। এই অভিযোগ পেয়ে মেজাজ হারান সাংসদ।
রচনা সেই মুহূর্তেই সাংবাদিকদের বলেন, আমি ভাবতে পারছি না আমার দলের একজন বিধায়ক প্রধান শিক্ষিকাকে আমার কাজ বন্ধ করে দিতে বলেছেন। আমিও দেখব বিধায়কের কত দম! এই ঘটনার পরেই সাংসদ বিধায়কের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। ঘটনার দিন অসিত কিছু না বললেও পরের দিনই অসিতপন্থী তৃণমূল নেতা গৌরীকান্ত মুখার্জি ওই স্কুলের পরিচলন সমিতির পর থেকে ইস্তফা দেন। গৌরিকান্ত তখন বলেন, বিধায়ক কাউকে গালিগালাজ করেননি। তিনি এসেছিলেন ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে। একই মত প্রকাশ করেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। দুজনের দ্বন্দ্বের দল চরম অস্বস্তিতে পরে। প্রকাশ্যে রচনার বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খোলা ঠিক হয়নি বলেই দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে দিন দুয়েক পর রচনাকে বোন বলে সম্বোধন করে তাঁদের দ্বন্দ্বে ইতি টানার চেষ্টা করেন অসিত। এই ঘটনার পর শনিবার নিজ কেন্দ্রে এসে অসিত নিয়ে কিছুটা নমনীয় হলেও নিজের জায়গাতেই রইলেন রচনা।