এই মুহূর্তে জেলা

যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা চন্দননগর মহকুমা আদালতে।

হুগলি, ২০ মার্চ:- পাঁচ মাসের কন্যা সন্তানকে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলো চন্দননগর মহকুমা আদালত ঘটনাটি ১০ই নভেম্বর ২০১৩ সালে হরিপালের সহদেব পঞ্চায়েতে গসা গ্রামে বাবা মেয়ের গলায় রেড চালিয়ে খুন করে। সেই সময় জানা যায় পিতৃত্ব নিয়ে সংশয় ছিল বাবা সেখ কামাল হোসেনের। ঐদিন সকালে শিশু কন্যাকে নিয়ে যেতে কামালকে অনেকেই দেখে শ্মশানের দিকে যেতে। পরবর্তী সময় পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে মা রেজিনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় মা রেজিনার অভিযোগ ছিল তার স্বামী শেখ কামাল হোসেন ভোর চারটে নাগাদ আমার কাছ থেকে মেয়েকে কেড়ে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। শ্বশুর-শাশুড়ি বাধা দিলেও সেখান থেকে বেরিয়ে যায় কামাল। অভিযোগ বাধা দিলে মেয়েকে ব্লেড দিয়ে খুন করার হুমকি দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় হরিপালেরই কৌশিক নদীর বাঁধের ওপর শিশুটির গলা কাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়। চন্দননগর মহকুমা আদালতে প্রায় ১১ বছর খুনের মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার চন্দননগর ফাস্ট ট্রাক ট্রাক কোর্টের বিচারক জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য যাবজ্জীবনে সাজা ঘোষণা করেন।

সরকারি আইনজীবী অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী বলেন হরিপালের থানা এলাকায় বাবা কামাল তার পাঁচ মাসের কন্যা সন্তানকে ব্লেড চালিয়ে হত্যা করে। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা শুরু হয়। চন্দননগর ফাস্ট ট্রাক কোট যাবৎ জীবনে সাজা ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে 10 হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় এক বছরের জেল ঘোষণা করে বিচারক। কন্যা সন্তানটি তার না হওয়ার সন্দেহের কারণেই এই খুন করে বাবা। অপরাধী মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে গিয়ে একটি নির্জন নদীর তীরে নৃশংস খুন করেছিল। পুলিশ ওখান থেকেই তার মৃত দেহ উদ্ধার করেছিল। মোট 21 জন সাক্ষী র মধ্যে 19 জনের ট্রায়াল হয়। সকলেই দাবি করেছে ওই কন্যা সন্তানটিকে আসামি কোলে করে নিয়ে যেতে দেখেছিল। তার ভিত্তিতেই বিচারক এই সাজা ঘোষণা করে। অপরাধী বারংবার দাবি করেছিল সে মানসিকভাবে সুস্থ নয় কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয় মেডিকেল পরীক্ষায়। বিচার ব্যবস্থায় দেখা যায় শিশুটিকে শেষ দেখা যায় অপরাধী সঙ্গে। সেই অনুযায়ী শেষ পরিণতিতে পৌঁছান বিচারক। লিগাল এডের আইনজীবী শশী রাজ সিংহ বলেন এই মামলার কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই। ডকুমেন্টরি ও মেটেরিয়াল সাক্ষ্য নেই। পুলিশ আধিকারিক যে মামলাটা করেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যদিও আদালত যা রায় দিয়েছে তা মেনে নিতে হবে। পরিবারের তরফে হাইকোর্টে আবেদন করবে। আমার দাবি পুনরায় সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করবে বিচারক।