হুগলি, ১৬ মার্চ:- প্রায় এক যুগ ধরে এলাকাবাসীর দাবি ছিল বেহাল রাস্তা মেরামত করা হোক।সেই মত ঢালাই রাস্তা হওয়ার মধ্যেই ফাটল ধরল নতুন রাস্তায়। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ এলাকাবাসির। চুঁচুড়া পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডে ঝাঁপপুকুর থেকে সাহাগঞ্জ যাওয়ার এক কিমি রাস্তা বেহাল দশা ছিল প্রায় এক যুগ ধরে। রাস্তা মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ হয় বার বার।পুরসভা প্রশাসনের আধিকারিকরা গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয় টাকা এলেই রাস্তা হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন ঢালাই রাস্তা তৈরী শুরু হয়। সেই নতুন রাস্তা তৈরির চার পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই ফাটল দেখা দেয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে তার ফলেই এই ফাটল। এলাকার বাসিন্দা রাধেশাম শঙ্খবনিক বলেন,দীর্ঘদিন রাস্তার বেহাল দশা। রত্না দে নাগ যখন সাংসদ ছিলেন তখন তিনি দেখে গিয়েছিলেন রাস্তার দশা। তারপর থেকে আর রাস্তা সারাই হয়নি। এরপর এখানের প্রত্যেকটি ক্লাব সদস্যরা মিলে জিটি রোড অবরোধ করা হয় রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে। বহু মানুষ রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় পড়ে গিয়ে হাত পা ভেঙেছে। বহুবার পৌরপ্রধানকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। এরপর রাস্তা অবরোধ করে আমরা দাবি করি ডিএম অথবা এসডিও কে আসার জন্য।
এরপর এসডিও ম্যাডামের প্রতিনিধি আসেন। তখন ওনারা জানান তড়িঘড়ি রড দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ হবে। কিন্তু কাজ যখন হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে রড টা বাতিল হয়ে গেছে। নতুন রাস্তা হওয়ার পরই কিন্তু সেই রাস্তায় ফাটল ধরেছে। নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এলাকার বাসিন্দা দীপু ভৌমিক বলেন, রাস্তার জন্য অনেক লড়াই করা হয়েছে। তারপর এসডিও ম্যাডাম কে জানানো হয়। তিনি বলেছিলেন রাস্তা ভালো করে হবে। তার পরিনাম যে এটা হবে জানা ছিল না। বিষয়টা কন্ট্রাক্টরকে অনেক বার বলেছি কিন্তু তারা কেও কথা শোনেনি। এ বিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, বিষয়টা জানা ছিল না, এখন জানলাম। খারাপ রাস্তা যদি হয় সেটা দুঃখের। আমি পি.ডাবলু.ডি সিআইসি সৌমিত্র ঘোষকে বলব বিষয়টি তদন্ত করতে।রাস্তার নমুনা কোয়ালিটি কন্ট্রোল বোর্ডে পাঠানো হবে। আমি আজকেই ব্যবস্থা নেব। সরকারি টাকা নয় ছয় করার অধিকার কেউ কাউকে দেয়নি। যা সিডিউল ছিল তা অনুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা আমি দেখবো। কোয়ালিটি ঠিক না হলে কন্ট্রাকটরের টাকা যাতে পেমেন্ট না হয় তা আমি দেখব।









