এই মুহূর্তে জেলা

আর জি করের বিচার চেয়ে প্রতিদিন তারিখ বদল চা দোকানির।


হুগলি, ১৪ সেপ্টেম্বর:- বলিউড সিনেমায় সানি দেওয়ালের একটি জনপ্রিয় সংলাপ রয়েছে তারিখ পে তারিখ মিলতি রাহি, লেকিন ইনসাফ নাহি মিলা। হুগলির বলাগড়ের এমনই এক চা বিক্রেতা রয়েছে যিনি প্রতিদিন আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে তারিখ বদলে যান। তিনি ক্রেতাদের মনে করিয়ে দেন তিলোত্তমার বিচার পাইনি ৩৪ দিন পরেও। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক কে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কেটে গিয়েছে এক মাস। বিচারের আশায় দিন গুনছে মানুষ। সুরক্ষা চেয়ে পথে নেমেছে পথে নামছে আট থেকে আশি সকলেই। প্রতিবাদের আওয়াজ রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও স্লোগান উঠেছে উই ওয়ান্ট জাস্টিস। সমাজের বিভিন্ন ধরনের মানুষ তারা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছে। কেউ ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনে, কেউ খাদ্য সরবরাহ সংস্থার বিলে আরজি করের দোষীদের শাস্তি জানিয়েছেন। তেমনই রয়েছেন বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা জয় ধর। বছর ৩৬ এর জয়ের আসাম লিঙ্ক রোডের ধারে বারুইপাড়ায় রয়েছে চায়ের দোকান।

বিএ ফাইনাল ইয়ার পড়তে পড়তে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে কন্টাকটার ও সেলসম্যানের কাজ শুরু করেন। কিছুদিন কাজ করার পর তাও বন্ধ করে দেন। সর্বশেষ চায়ের দোকান খুলে বসেন জয় ।নাম দেয় “জয়দার” চায়ের দোকান। প্রতিদিন বিকেল হলেই তার চায়ের দোকানে ভিড় জমে আশেপাশের মানুষের। আর তাদের মনে করিয়ে দেন এখনো বিচার হয়নি আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের নিশংস হত্যার ঘটনার। জয়ের দোকানের ঠিক ডান দিকের দেওয়ালে একটি বোর্ড ঝোলানো রয়েছে। তাতে নীল কালিতে লেখা রয়েছে” চা খেতে খেতে ভুলে যাবেন না তিলোত্তমার বিচার পায়নি ,আজ ৩৪ দিন”! সম্প্রতি এমন একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে খুব একটা বেশি সময় দেননি নেটিজেনরা। খোঁজ নিয়ে জয়ের দোকানে পৌঁছে গিয়েছিল এই সময় অনলাইন। এক ক্রেতা জিৎ ঘোষ বলেন, তিলোত্তমা বিচার পাইনি বেশ কয়েকদিন হয়ে গেছে।

আমরা সবাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি। তবে তার মধ্যে এটা দেখে ভালো লাগছে যে চায়ের ব্যবসা চালিয়েও প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছে। বিচার আমাদের পেতেই হবে। জয় বলেন, ৩৪ দিন কেটে গেলেও এখনো ধর্ষণের বিচার হয়নি। চায়ের দোকান সামলে সেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারছেন না, তাই এই অভিনব ভাবে প্রতিবাদ করছি। যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের পাশে আছি এবং তাদের সাহস জোগাচ্ছি। চলার পথে মানুষ যাতে ভুলতে না পারে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে যেন এক কঠোর আইন তৈরি হয়। প্রতিটা বাড়ির মহিলারা যেন সুরক্ষিতভাবে রাস্তায় বেরোতে পারে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করি। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকটা কমে গেছে। সাধারণ অনেক গরিব মানুষ আছে তারা হাসপাতালে যান চিকিৎসা করাতে তারাও সমস্যায় পড়ছে। আমি চাই চিকিৎসকরা চিকিৎসায় ফিরুক।