হুগলি, ১৩ সেপ্টেম্বর:- তাঁত বস্ত্র মেলায় নিজে কাপড় কিনলেন, মানুষকে উৎসব মুখি হতে আবেদন জানালেন, জুনিয়ার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার ডাক দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক কে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য। নারী নিরাপত্তা ও বিচার চেয়ে আন্দোলনে বসেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানও ডাক দিয়ে টানা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জট কাটাতে আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও লাইভ স্ট্রিমিং এ সরকার রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সেই আলোচনা শেষ মুহূর্তে এসে ভেস্তে যায়। তবুও আন্দোলন থেকে পিছু হটেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। এ প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ বলেন, আমি কোনদিন বলিনি তারা ভুল কাজ করছেন আমি সব সময় তাদের সাথে আছি পাশে রয়েছি কারন তারা বিচার চাইছে আমরা সবাই বিচার চাইছি। আমরা চাই দোষী শাস্তি পাক এবং তাকে সাজা দেওয়া হোক। তার জন্যই এই আন্দোলন প্রতিবাদ। সেটাকে আমরা সমর্থন করি। শুধু আমি নই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাশে আছে।
যদিও চিকিৎসকদের কর্ম বিরতির জন্য অনেক মানুষ দুঃখ পাচ্ছেন কষ্ট পাচ্ছেন। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। অনেক তিলোত্তমা তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের কথা ভেবে দেখলে ভালো হয়। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আমার করজোড়ে আবেদন। আন্দোলন থাকবে আন্দোলন করুন, কিন্তু কাজে ফিরে আসুন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এবার উৎসবে ফিরে আসুন সেই প্রসঙ্গে রচনা বলেন, আমি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা মনে করি দিদি যা বলেন তিনি চিন্তা ভাবনা করেই কথা বলেন। তার কথাকে আমরা স্মরণ করি। পূজো নিশ্চয়ই হওয়া দরকার। পুজোর সাথে শুধু আনন্দ নয় প্রচুর মানুষের ব্যথা বেদনা শ্রম সবকিছু জড়িয়ে রয়েছে। যারা মন্ডপ নির্মাণ করে, তারা কত শ্রম দিয়ে মন্ডপ নির্মাণ করেন। উৎসব এলেই অনেক মানুষের রুটি- রোজগার করে সংসার চলে তাই সেটাকে ভুলে গেলে হবে না। চুঁচুড়া মাঠে আজ থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৩৯ তম শারদীয়া তাঁত বস্ত্র মেলা। সেই মেলার উদ্বোধন করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছিলেন বিধায়ক অসীমা পাত্র, অসিত মজুমদার, জেলা শাসক মুক্তা আর্য। মেলা ঘুরে শাড়ি ব্যাগ সালোয়ার কামিজ গামছা কেনেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।