এই মুহূর্তে কলকাতা

সিএএ ও এন আর সি বাতিলের দাবিতে সংসদে সোচ্চার হবে তৃণমূল, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা, ৮ জুন:- গতবারের থেকে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে সংসদে ফিরছে তৃণমূল। তাই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার পক্ষকে চেপে ধরতে প্রস্তুত ঘাসফুল শিবির। শনিবার দলের নবনির্বাচিত সাংসদদের সে বিষয়ে পথনির্দেশিকা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এন আর সি বাতিলের দাবিতে তৃনমূল কংগ্রেস সংসদে সোচ্চার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নবনির্বাচিত সাংসদরা ছাড়াও উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়ক ও রাজ্যসভার সাংসদরাও কালীঘাটের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, এর কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া মেটানোর জোরালো দাবি তোলা হবে। এইবার সংসদে বিরোধীদের শক্তি অনেক বেশি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদীয় দল হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের নূন্যতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি নির্বাচনের ফলাফলের দিন শেয়ার বাজার নিয়ে যে দূর্নীতি হয়েছে তার তদন্তের দাবিও তোলা হবে।

নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিন চারটে আসনে তাদের জোর করে হারানো হয়েছে। বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক এইবার সংসদে গুরূত্বপূর্ন ভূমিকা নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস রাজ্যের ১৬১টি ও বিজেপি ১২১টি আসনে এগিয়ে থাকলেও এইবার সেখানে তৃনমূল কংগ্রেস ১৯২ ও বিজেপি ৯০টি আসনে এগিয়ে ছিল বলে তিনি জানান। যে কেন্দ্রগুলিতে দল পিছিয়ে রয়েছে আজকের বৈঠকে তার কারন বিশ্লেষন করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। জাতীয় স্তরে বিজেপির খারাপ ফলাফলের জন্যে তিনি নরেন্দ্র মোদির ইস্তফা দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আজ সংসদের দুই কক্ষে দলের বিয়াল্লিশ জন সংসদের মধ্যে থেকে নতুন সংসদীয় কমিটিও ঘোষনা করেন। নিজেকে কমিটির চেয়ারপার্সন রেখে লোকসভায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলনেতা, কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে উপ দলনেতা ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্য সচেতক নির্বাচিত করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া রাজ্যসভায় ডেরেক ও ব্রায়ানকে দলনেতা, সাগরিকা ঘোষকে উপ দলনেতা এবং নাদিমূল হককে মুখ্য সচেতক করার কথা ঘোষনা করেন তিনি।