এই মুহূর্তে কলকাতা

প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারনের কাজের জন্য বিঘ্নিত হচ্ছে শিয়ালদা শাখায় রেল চলাচল।

কলকাতা, ৮ জুন:- শুক্রবারের পর শনিবার। শিয়ালদা মেন ও বনগাঁ শাখায় প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ সংক্রান্ত কাজের জন্য বিঘ্নিত হচ্ছে রেল চলাচল। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। গড়ে এক থেকে দেড় ঘন্টা দেরিতে চলছে ট্রেন। প্রচন্ড গরমে ঠাসাঠাসি বাদুড় ঝোলা ভিড়ে প্রাণ হাতে করে সফর করতে হচ্ছে এই শাখার যাত্রীদের। লোকাল ট্রেন তো বটেই রাজধানী দুরন্তর মত প্রিমিয়াম এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরাও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। সকালে রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন। দুপুরে দুর্ভোগে পড়লেন দুরন্ত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের দু’-দু’টি প্রথম শ্রেণির সুপারফাস্ট ট্রেন এসে থমকে গেল দমদমে। তবে সকালে রাজধানী তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর শিয়ালদহ স্টেশনের দিকে রওনা হয়েছিল। কিন্তু দুরন্ত দুপুর ২টোর সময় দমদমে এসে দাঁড়ালেও সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত সেখান থেকে আর একটুও এগোয়নি। প্রায় ৪ ঘণ্টার এই অপেক্ষায় অধৈর্য যাত্রীদের অধিকাংশই তাঁদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ-স্যুটকেস নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে দমদম স্টেশনের দিকে রওনা হন। তবে যাঁরা তা করতে পারেননি, তেমন অনেকেই ট্রেনের ভিতরেই অপেক্ষারত।

বলা বাহুল্য, দেশের অন্যতম প্রথম শ্রেণির ট্রেনের তালিকায় রয়েছে রাজধানী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেস। স্বাচ্ছন্দ্যভাবে যাত্রা করার জন্য টিকিট কাটেন ট্রেনযাত্রীরা। সেই ট্রেনের যাত্রীদের এই দূরবস্থায় হতবাক সকলেই। এই ঘটনার জেরে সমালোচনার শিকার হয়েছে পূর্ব রেলের কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, শিয়ালদা স্টেশনে ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তার জেরে বদল আনা হয়েছে রেল পরিষেবায়। বহু ট্রেন বাতিল। অনেক ট্রেন যাত্রা শুরু ও শেষ করছে দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বারাসত এবং কল্যাণী স্টেশনে। এর জেরে যাত্রী দুর্ভোগের অন্ত নেই। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় সকাল থেকে রাত অবধি স্টেশনগুলিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল গতকাল। এদিন সকালেও সেই একই ছবি ধরা পড়েছে। কী ভাবে তাঁরা গন্তব্যে যাবেন তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। অনেকেই ভিড়ের চোটে ট্রেনে উঠতে পারছেন না বা উঠতে ভয় পাচ্ছেন। যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে তাদের ৪০০র বেশি কর্মী প্রবল গরম ও রৌদ্রের তাপ উপেক্ষা করে লাগাতার কাজ করে চলেছেন। নির্ধারিত সময় অর্থাৎ রবিবার দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে। তারপরেই ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।