এই মুহূর্তে কলকাতা

শর্তসাপেক্ষে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজনের অনুমোদন দিল কমিশন।

কলকাতা, ৬ মে:- শর্ত স্বাপেক্ষে রবীন্দ্রজয়ন্তী সংক্রান্ত সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অনুমোদন দিল নির্বাচন কমিশন। বাংলা দিবসের মতো ওই অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকতে পারবেন না বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। মুখ্যসচিব-সহ সরকারি স্তরের আধিকারিকরা সরকারিভাবে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করবেন। কিন্তু, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবি রবীন্দ্র জয়ন্তী সংক্রান্ত ব্যানার বা হোডিংয়ে ব্যবহার করা যাবে না। এবং কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তো বটেই তো বটেই, নিয়মের গেরোয় সেদিন অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না রাজ্য়ের কোনও মন্ত্রী, এমনকী স্বয়ং মুখ্য়মন্ত্রীও! থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকরা। রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন নিয়ে রবিবারই তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাভপুরের সভা থেকে তিনি এই নিয়ে সরব হন। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমরা কিছু করতে গেলেই গেলেই ইলেকশন কমিশনের পারমিশন চাই। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রবীন্দ্রনাথের গলায় মালা দিতে গেলেও নির্বাচন কমিশনের পারমিশন নিতে হবে।তিনি বলেন, ৮ তারিখ আমি কলকাতা ফিরে যাব। ওইদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মোৎসব। আমাদের নাকি কিছু করতে নেই।

ইলেকশন চলছে। রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হবেই।রবীন্দ্রনাথকে ভুলে আমরা থাকতে পারব না। দরকার হলে আমি নিচে বসব। তাতে কিছু যায়-আসে না। কিন্তু রবীন্দ্র জন্মোৎসব বন্ধ হবে না, আমরা হতে দেব না। জানা গেছে ৮ তারিখ বলাগড়ে কর্মসূচি শেষ করে কলকাতায় ফিরে জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর তোপ দাগার পরেই সোমবার রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের অনুমোদন মিলেছে কমিশনের তরফে। এদিকে কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর তড়িঘরি রবীন্দ্র জয়ন্তি পালনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ৮ মে রবীন্দ্র সদন লাগোয়া ক্যাথিড্রাল রোডে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে বিতর্ক এড়াতে এবার সেখানেে থাকছে শুধুই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন রাজ্যের প্রোথিতযশা শিল্পি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এর আগে, ভোটের মুখে রাজ্যকে শর্তসাপেক্ষে ‘বাংলা দিবস’ পালনের অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।। কমিশনের নির্দেশ ছিল, পয়লা বৈশাখ অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকরাই। ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারবেন, কিন্তু অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এমনকী, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপনেও।