এই মুহূর্তে কলকাতা

প্রবল তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি দিয়ে স্বস্তির বৃষ্টি।

কলকাতা, ৬ মে:- প্রবল তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি দিয়ে স্বস্তির পূর্বাভাসের মধ্যে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কাও মাথাচাড়া দিচ্ছে।এ বছর ১ জানুযারি থেকে গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট আসা পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদহ। প্রথম দশে থাকা বাকি জেলাগুলি হল হুগলি, বাঁকুড়া, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর। ১৮ সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া এই পরিংখ্যান থেকে আরও জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং মালদহ—প্রথম তিনের তিন জেলাতেই মোট আক্রান্ত ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। এছাড়া হুগলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩।
এদিকে ডেঙ্গুর মতো প্রাণঘাতী অসুখ নিয়ে বহু মানুষের অসতর্কতা পঞ্চায়েত দফতরের এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

রাজ্যের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি চালানো সমীক্ষায় ৮০ হাজারের মতো বাড়িতে ডেঙ্গুর লার্ভা মিলেছে। ১৮ লক্ষ বাড়িতে সমীক্ষা চালিয়ে ২৯ হাজারের বেশি জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সন্ধান মিলেছে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সমীক্ষা করা চালানো হয়েছিস। এই ভীতিপ্রদ রিপোর্টের পর স্বাস্থ্য দফতর, পঞ্চায়েত ও পুর দফতরের স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটের মধ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিবিড় প্রচার চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে মশা দমন অভিযানেও গতি আনা হচ্ছে। বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত পরিদর্শন করছে কি না তার উপর নজর রাখা যাবে।