এই মুহূর্তে কলকাতা

সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে সংঘটির বার্তা রাজ্যের।

কলকাতা, ২৬ জানুয়ারি:- সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে সংহতির বার্তা দিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার রেডরোডে ৭৫ তম সাধারণ তন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের পরতে পরতে ছিল বহুত্বের বার্তা। যার মধ্যে ছিল দার্জিলিং এর ঐতিহ্যবাহী কুকরি নাচ থেকে শুরু করে পুরুলিয়ার ছৌ,কোচবিহারের বৈরাতী থেকে জঙ্গলমহলের সাঁওতালি নাচ, বাউল গান, ছৌ নাচ পর্যন্ত। বাংলার নানা প্রান্তের বিচিত্র সাংস্কৃতিক সম্পদকেই তুলে ধরা হল রেড রোডের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। যে অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ছিল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলের পড়ুয়া এবং রাজ্য সরকারের লোক প্রসার প্রকল্পের শিল্পীরা তুলে ধরলেন রাজ্যের বর্ণময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এক ট্যাবলার মাধ্যমেও সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হল। এই ট্যাবলোতে লেখা ছিল ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এছাড়াও ছিল দক্ষিণশ্বরের মন্দির, নাখোদা মসজিদ ও গির্জার ছবি। প্রসঙ্গত, ২২ শে জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মহানগরের রাজপথে সম্প্রীতির মিছিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই মিছিলেরও মূল স্লোগান ছিল, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। সাধারণ তন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ফের একবার কৌশলে রাজ্য সরকারের সেই অবস্থানকেই সকলের সামনে তুলে ধরা হল বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, পথশ্রী ইত্যাদির ও ট্যাবলো ছিল কুচকাওয়াজে। এপর্যন্ত রাজ্যের জিআই তকমা পাওয়া ২৭টি পণ্যকে এবছর রেড রোডের কুচকাওয়াজে তুলে ধরা হয় লক্ষীর ভান্ডার, জয় জোহার, তফশিলি বন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধা ভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড সহ শোভাযাত্রায় সামিল হন। তুলে ধরা হয় সেনাবাহিনীর সামরিক সম্ভার। গঙ্গা থেকে বয়ে আসা শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া আর শীতের নরম রোদ্দুর গায়ে মেখে এই নয়নাভিরাম কুচকাওয়াজের সাক্ষী থাকলেন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী। শুক্রবার বেলা ১১ টা নাগাদ রেড রোডে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। এদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।