হুগলি, ২৭ নভেম্বর:- বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি, উদারতা ও গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পভাগান গুজরাটে, সিঙ্গুরের সভায় এসে বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হুগলির সিঙ্গুরে বুড়ো শান্তির মাঠে চাকরি চুরি, রেশন চুরির, ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সিঙ্গুরে প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সবাই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, সিঙ্গুরে প্রথম যখন ২০০৬ সালে সিঙ্গুরের অধিকাংশ মানুষ যারা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল। সামান্য কজন বর্গাদার তাদেরকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তার বোকামির জন্য এই ধরনের ফ্রাঞ্চ স্টাইল মমতা ব্যানার্জি আজকের এই সিঙ্গুর টাকে শ্মশানে পরিণত করেছে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মত মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী বটে শিল্পভাগান গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি। রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বেচা ঘরে ঢুকে গেছিল একটা সময়। টাটার কারখানায় চুনসুর কি সাপ্লাইয়ে ঢুকে গেছিল। অত বেচা মান্না কে ভয়ের কি আছে! বেচা মান্না কে ছেড়ে দেন আমি দেখব। আমি জানি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে খেত। আগে ফাটা পায়জামা পরতো, একটা পাঞ্জাবী, পাঁচদিন পড়তো তারপর ধুতে যেত। ওই মালটা এখন সারাদিনের তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরে। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খায়। এখন অনেক কিছু করেছে, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। আমাদের ভারতবর্ষে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টর আছে। মাটির ভিতরে মাল থাকলে বার করে। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শ কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়া নাম তার পার্থ। যে মমতার একজন প্রিয় পার্থ ছিল। সে মাল নিয়ে গিয়ে অপার ঘরে ঢুকিয়েছে, ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। বেচা আর করবি কোথায় মাল রাখবে। আমরা সব জানি তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখন পঞ্চায়েত অফিসে হরিবোল হয়ে গিয়েছে, লুটের পঞ্চায়েত।