এই মুহূর্তে জেলা

চার হাসপাতাল ঘুরে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যুবকের।

হুগলি, ১৮ নভেম্বর:- চার হাসপাতাল ঘোরার পর প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল হরিপালের যুবকের। আবারও সামনে এল সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগ। অভিযোগ, হরিপাল হাসপাতাল থেকে চুঁচুড়া হাসপাতাল, সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, তারপর বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি। এভাবেই কাটল রাত। ভোরবেলা মায়ের সামনেই মৃত্যু হল হুগলির যুবক বিকাশ দুলের। হরিপালের আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌতারা তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ দুলে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই মাথার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বিকাশ। গত রবিবার তাঁর মেয়ের অন্নপ্রাশন ছিল। সেদিন যন্ত্রণার জন্য আলুর বস্তা মাথায় তুলতে পারেননি তিনি। শুক্রবার বাড়াবাড়ি হওয়ায় প্রথমে হরিপাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানকার ডাক্তাররা চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন তাঁকে।

চুঁচুড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় বিকাশকে। সেখানে সিটি স্ক্যান হয়। এরপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাঙ্গুর ইনস্টিউট অফ নিউরোলজিতে রেফার করে। বিকাশের মা চায়না দুলের অভিযোগ, বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি তাঁকে। সেখানে পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়। বাঙ্গুরে ভর্তি না করতে পেরে ফের বিকাশকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাশের মা বলেন, “মেডিক্যালেও ভর্তি নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়। রাত তখন দুটো। এত রাতে আর কোথায় যাব? বেড না থাক মেঝেতে রাতটুকু ভর্তি করার আবেদন জানাই। তাতেও শুনল না কেউ।” ভোর ছ’টায় মায়ের সামনেই মৃত্যু হয় বিকাশের। কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। তিনি বলেন, “এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রাতভর ঘুরে বেড়ালাম। কেউ ছেলেটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করল না। ছেলেটা বিনা চিকিৎসায় মারা গেল।”