এই মুহূর্তে জেলা

দূষণ নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছেন হুগলি জেলার সাধারণ মানুষ,পাঠানো হচ্ছে চিঠি।


হুগলি, ৩১ অক্টোবর:- দুর্গা পুজোর প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক নির্দেশিকায় শব্দবাজির ন্যূনতম শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করার নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকার প্রত্যাহারের আবেদন করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি লিখছেন হুগলি জেলার নাগরিকরা। রেজিস্টার্ড পোস্টে ঐ চিঠি পাঠানোর বিষয়ে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছে বাজি ও ডিজে বক্স বিরোধী মঞ্চ। চিঠিতে নাগরিকদের বিশেষ আবেদন এই যে, গত ১৭ অক্টোবর ২০২৩ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দূষণ সংক্রান্ত যে নির্দেশনামায় বিস্ফোরণস্থল থেকে ৫ মিটার দূরে, শব্দবাজির সর্বোচ্চ মাত্রা ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। ইতিপূর্বে গত ১৯৯৬ সাল থেকে শব্দবাজির সর্বোচ্চ মাত্রা ৯০ ডেসিবেল পর্যন্ত অনুমোদিত ছিল।শব্দসীমার এই বৃদ্ধি নাগরিকদের আতঙ্কিত এবং হতাশ করেছে। এমনিতেই গত ১৯৯৬ সালের পর থেকে সারা রাজ্যে, বিশেষত শহরাঞ্চলে শব্দের দাপট এবং বাজির উৎপাত বেড়েছে, এর উপর কোভিড সংক্রমণের পরবর্তী পর্যায়ে বাজিদূষণ মানুষের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যসমস্যা হয়ে উঠেছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিস্ফোরণস্থল থেকে ৫ মিটার দূরে, শব্দবাজির সর্বোচ্চ মাত্রা ৯০ ডেসিবেল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত থাকা মানুষের কাছে একটা বড় স্বস্তির কারণ ছিল এবং সারা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গের পথপ্রদর্শকের ভূমিকার কথা ভেবে নাগরিকরা ভরসা পেতেন। কিন্তু রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই সাম্প্রতিক নির্দেশনামায় নাগরিকরা সেই ভরসা হারিয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্তকে হঠকারী, অনৈতিক এবং অদূরদর্শী বলে মনে করছেন। এই বাস্তবতায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আবেদন, এই নির্দেশনামা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক এবং এতদিন ধরে চলে আসা বিস্ফোরণস্থল থেকে ৫ মিটার দূরে, শব্দবাজির সর্বোচ্চ মাত্রা ৯০ ডেসিবেলই বলবৎ থাকুক। ৩১ অক্টোবর ২০২৩ শুরু হল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো। প্রথম দিনেই প্রায় পঞ্চাশ জন নাগরির লিখলেন চিঠি। লক্ষ্য হাজার পাঁচেক চিঠি পাঠানো, যার মধ্যে বাজির শব্দে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনও আছেন। যদিও বাজি ও ডিজে বক্স বিরোধী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, “আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারও দিল্লি সরকারের মতোই দূষণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়ে সমস্ত ধরনের বাজিই নিষিদ্ধ করুক। এমনিতেই প্রকৃতিকে প্রতি মুহূর্তে নানাবিধ দূষণ সহ্য করতে হয়। যাতে প্রকৃতির নাভিশ্বাস ওঠে। আবার আমোদ করে খানিক দূষণ নিমন্ত্রণ কাম্য নয়।”