হুগলি, ১৭ অক্টোবর:- হুগলী জেলার ডানকুনি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপূজা এই বছর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করেছে। ৫০-তম বর্ষের এই বিশেষ শারোদোৎসব স্মরণীয় করবার প্রয়াসে, ক্লাবের সদস্যগন তাদের চিন্তাভাবনা ও সৃজনশীলতা কে অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা তুলে ধরেছেন আপামর জনগনের সামনে। প্রশ্নসূত্রে জানা যায়, এবছর পাশাপাশি ক্লাবগুলির প্রতিমার রূপ সম্পর্কে অবহিত হয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়াতে এবং মনমুগ্ধকর প্রতিমা জনগণের সামনে তুলে ধরতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ, যেখানে প্রতিমার রূপদান করেছেন ‘কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মৃৎশিল্পী রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ঈশ্বর সুবল পাল মহাশয়ের সুযোগ্য পুত্র শ্রী রাজিব পাল মহাশয়’। মন্ডপ সজ্জাতে ও তারা পিছপা হবেন না তাদের মনে চিন্তাশীলতাকে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরেছেন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশেষ অঙ্গীকার স্বরূপ এই বছর মণ্ডপ নির্মাণ করেছেন কাঁথির শিল্পীরা এবং আলোকসজ্জায় কলকাতার শিল্পীরা, যা বিশেষ নজর কারার মতো ছিল। কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের কারুকার্য বহুল চর্চিত এবং মন্ডপে বিরাজিত এবছরের প্রতিমার মনমুগ্ধকর রূপে তা উদ্ভাসিত হয়েছিল দর্শকচক্ষে। যথেষ্ট আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে এবং আনন্দের শ্রেষ্ঠ সৃজনশীলতার উদাহরণ হিসেবে এই বছর পূজা-মণ্ডপটি গুজরাটের বিখ্যাত স্বামী নারায়ণ মন্দিরের আদলে সুনিপুণভাবে গড়ে উঠেছিল, যা অবশ্যই বিগত বছরগুলির থেকে স্বতন্ত্র এবং ইতিমধ্যে চর্চার বিষয়বস্তু ছিল।
মানানসই আলোকসজ্জাতেও নতুনত্বের ছোঁয়া ছিল বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তাগণ। এক অভাবনীয় ঐতিহাসিক একখণ্ড গুজরাট উপহার দিয়েছেন জনগণকে এবং দর্শককে এই আনন্দের অঙ্গীকার রেখেছেন ডানকুনি স্পোর্টিং ক্লাব। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং আরো অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক নিবেদন ছাড়াও ওই মঞ্চ থেকে বিশেষভাবে দুঃস্থ ও অক্ষম ২০০ শিশুকে নতুন বস্ত্র প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়াও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা ৫০০ মহিলাকে সাহায্য দান তথা নতুন শাড়ি দান করা হয়েছিল ক্লাবের পক্ষ থেকে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক প্লিটু দে, সভাপতি সুকুমার চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিচন্দ। মায়ের আগমনী যাতে সবার কাছেই আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে তার জন্য উদ্যোক্তাগণ সদা সচেষ্ট ছিল। এলাকাবাসীর কাছে এই সংস্থার পূজার আয়োজন এমনই বিভিন্ন কারণে সদা প্রশংসিত। শারীরিক প্রতিবন্ধী, বয়োজ্যেষ্ঠ এবং বয়জষ্ঠা দর্শনার্থীদের প্রতি এনারা চিরকাল খুবই যত্নশীল। এই ক্লাবের স্বভূমিতে লোকচর্চাও বিদ্যমান, ও পরিলক্ষিত। তাই এবছর হুগলীর, ডানকুনি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপূজা সকল স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও নবপ্রজন্মের প্যান্ডেল-হপারদের কাছেও যে নবতম সংযোজন ছিল তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।