হুগলি, ১৭ অক্টোবর:- বিগত ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে পটে আর ঘটেই দশভূজার আরাধনা হয় পাল বাড়িতে। হুগলি নদীর তীরবর্তী চুঁচুড়ার পালগলির পাল বাড়ির কুলদেবতা রাধামদন গোপালজিউ (রাধা-কৃষ্ণ) ছাড়া কোনও দেব-দেবীর মূর্তি রাখা মানা। তবে, কারণটা বর্তমান বংশধরদের অজানা। চটের তৈরি পটচিত্রে দেবী দুর্গার আরাধনা হতো। কালের নিয়মে প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন পটকে আর টিকিয়ে রাখা যায়নি। দেড় দশক আগে পুরাতন পটের জায়গায় বসেছে ফ্লেক্স। উত্তরসূরি বিশ্বজিৎ পালের মতে, এই বংশের পূর্বসূরি সেবকরামকে কোনও এক সাধু ওই কুলদেবতার মূর্তি দান করেছিলেন।
অনটনে থাকা সেবকরাম সেই মূর্তির সেবা করতে না পেরে সিন্দুকে বন্দি করে রেখেছিলেন। পরবর্তীতে কুলদেবতার স্বপ্নাদেশে সেই মূর্তি পুজোর পাশাপাশি অন্যান্য দেব-দেবীর পটে-ঘটে পুজো শুরু করেন। এরপরেই বাড়তে থাকে সেবকরামের প্রতিপত্তি। ষষ্ঠী থেকে দশমী চলে একসাথে খাওয়াদাওয়া। পুজোয় প্রতিদিনই ভোগ নিবেদন করা হয়। যা তৈরি করেন বাড়ির মহিলারা। নৈবেদ্য সাজায় বাড়ির পুরুষরা। তবে তার জোগাড়ে থাকেন পরিবারের মেয়ে ও বৌমারা। দশমীতে দেবীকে বরণ করেন বাড়ির ছেলেরাই।