এই মুহূর্তে জেলা

ছোট হাতেই মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী রুপ পাচ্ছে দেবী দুর্গা।



হুগলি, ৪ অক্টোবর:- ছোট হাতেই মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী রূপ পাচ্ছে দেবী দুর্গা।আর তার হাতের তৈরি দেবী দুর্গা মহালয়ার দিন থেকেই পাড়ি দেবে বিভিন্ন মণ্ডপে। ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রের হাতের তৈরি দেবী দুর্গা পূজিত হবে বিভিন্ন মণ্ডপে। এখনকার সময়ে যেখানে ছেলে মেয়েরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে সেখানে পড়াশোনা সামলে নিজে প্রতিমা তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। আবার একটি নিজের তৈরি প্রতিমা বাড়িতেই পুজো করে কোন্নগর কানাইপুর এলাকার বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মৌসম নস্কর। যখন তার বয়স পাঁচ সেই থেকেই শিল্পকলা খুবই পছন্দ মৌসম এর। সেই ছোট বয়স থেকেই বিভিন্ন মূর্তি বানানো শুরু। এরপর আসতে আসতে সমস্ত দেব দেবীর মূর্তি তৈরি করা শুরু বাড়িতেই। আর ছোট মৌসমকে এই কাজে সব সময় সমর্থন করে চলেছে তার বাবা মা।

পড়াশোনা সামলে বাবার সাথে গঙ্গা থেকে মাটি আনা থেকে শুরু করে কুমোরটুলি গিয়ে রং দেবীর সাজ সমস্ত নিয়ে এসে প্রতিমা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মৌসম। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাটি উৎসবে অংশগ্রহণ করে সকলের নজর কেড়েছে কানাইপুর এলাকার বাসিন্দা মৌসম।আর এলাকার ছেলের এই প্রতিভা দেখে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। এই বিষয়ে মৌসম বলে ছোট থেকেই তার মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে ভালো লাগে।এরপর আসতে আসতে সমস্ত দেব দেবীর মূর্তি তৈরি করা শুরু।আর এখন তার তৈরি দেবী দুর্গা বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যায় সেখানে পূজিত হন এটা খুবই ভালো লাগে ।আর পড়াশোনা করে যে সময়টা পাওয়া যায় সেই সময় সে এই মূর্তি তৈরির কাজ চালায়।

আগামী দিনে ভালো আর্ট কলেজে ভর্তি হয়ে তার এই শিল্পকলার কাজ আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় মৌসম। আর ছেলের এই কাজ নিয়ে বাব সৌমেন নস্কর বলেন, ছোট থেকেই ওর মাটি নিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানোর কাজ করে। আর এতে কখনো তারা বাধা দেয় না। উল্টে সমস্ত বিষয়ে ছেলেকে সব সময় উৎসাহ দেন যাতে ছেলে আগামী দিনে তার এই শিল্পকলা নিয়ে অনেক বড় হতে পারে। আর মা মৌমিতা নস্কর বলেন,ছেলে পাঁচ বছর বয়েস থেকেই এই মাটি নিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। এটা খুব আনন্দ হয়।শুধু ছেলেকে বলি পড়াশোনা সামলে সব কিছু করতে। আরও সেটাই করে। আগামী দিনে ছেলে তার এই প্রতিভা নিয়ে আরো এগিয়ে যাক।