হুগলি, ২০ সেপ্টেম্বর:- পোলবা, রাজহাট, দেবানন্দপুর, মগড়া অঞ্চলের নতুন আতঙ্কের নাম কালাচ। সরস্বতী ও কুন্তি নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিগত বেশ কিছুদিন ধরে কালাচ সাপের দেখা মিলছে। গৃহস্থের বাড়িতে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পরছে বিষধর এই সাপ। কালাচের কামড়ে মৃত্যুও ঘঠছে। পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিপুর গ্রামে রহিত সিং (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। জানা গেছে রাজহাট হাইস্কুলের ওই ছাত্র সোমবার বিকালে ফুটবল খেলে বাড়ি যায়। রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পরে। সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরে ব্যাথা অনুভব করে। ফুটবল খেলার জন্য হয়ত গায়ে ব্যাথা হয়েছে মনে করে। কিছু পরে গলায় অসম্ভব ব্যাথা ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, শরীর টলতে থাকে। অ্যাম্বুলেন্স ডেকে পোলবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক দেখে জানান মৃত্যু হয়েছে কিশোরের। কালাচ সাপে কামরেছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কিশোরের মৃত্যুর খবরে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। বাড়িতে তন্নতন্ন করে খুঁজেও সাপের দেখা মেলে না। তখন ডাক পরে সাপ উদ্ধারকারী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং এর। গতকাল রাতে মাটির মেঝে খুঁড়ে একটি বড়সর কালাচ সাপ উদ্ধার করেন চন্দন। কালাচ সাপ কামরালে কি উপসর্গ দেখা দেয়, সাপ কামরালে কি করা উচিত, সাপ না মেরে ফেলা কেন উচিত নয় সে বিষয়ে সচেতন করেন গ্রামবাসীদের। অ্যান্টি ভেনাম সিরাম তৈরী হয় সাপের বিষ থেকে, সাপে কামরালে সেই সিরামই মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করে। বোঝানোর পর গ্রামবাসীরা সাপটিকে চন্দনের হাতে তুলে দেন।নিরাপদ জায়গায় ছেড়ে দেন চন্দন। গতকালই ছিল বিশ্ব সর্প দংশন সচেতনতা দিবস। গ্রামবাসীরা জানান, কালাচ সাপ পোলবা এলাকায় আগে খুব একটা দেখা যেত না। বেশ কিছুদিন ধরে এই সাপের দেখা মিলছে। মগড়ার নতুন গ্রাম লাইন ধারে ঝুপরিতে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এক শিশু ও এক যুবকের মৃত্যু হয় ঘুমের মধ্যে কালাচের কামরে।ঠিক কি হয়েছে বুঝতে না পারায় তাদের মৃত্যু হয়। যেমনটা রাজহাটের কিশোরের ক্ষেত্রে হয়েছে। কালাচ সাপ কামরালে বুঝে উঠতেই অনেকটা দেরি হয়ে যায় তাই মৃত্যু হয় সাপে কাটা রুগীর।