হুগলি, ১৬ সেপ্টেম্বর:- ইলেকট্রিক বিল ৪৫০০০ দেখে তো চক্ষু চড়ক গাছ, চুঁচুড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাঁসারিপাড়া ওয়াজিদনগর এর বাসিন্দা বিশ্বনাথ মন্ডল। তার বাড়িতেই ইলেকট্রিক বিল এসেছে ৪৫০০০ টাকা।আবার সেটা দিতে না পারায় কেটে দেওয়া হয়েছে বাড়ির বিদ্যুতের লাইন। কিন্তু কিভাবে এত টাকা বিল আসতে পারে একটা বাড়িতে, এটা ভেবেই কোনো কুল কিনারা পাচ্ছেনা এলাকার বাসিন্দারা। বিশ্বনাথ বাবু বলেন বহু বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি, বহু ইলেকট্রিকের বিলও ভরেছি, কখনো ১৫০০ কখনো ১৭০০ কখনো বা ২৫০০, কিন্তু এবারে একেবারে পঁয়তাল্লিশ হাজার বিল এসেছে সেটা দেখেই মাথায় হাত, বিশ্বনাথ বাবু আরো বললেন আমার স্ত্রী হার্টের পেশেন্ট সবসময় বিছানা সজ্জা, বৌমা অন্তসত্ত্বা, এই অবস্থায় বিল না দিতে পারায় কেটে দেয়া হয়েছে তার বাড়ির বিদ্যুৎ পরিষেবা।
বাড়ির বৌমা সুলতা মন্ডল জানান দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের হাত দু হাজারের মধ্যেই বিল আসে, তারপর আমরা চিমনি ও ওয়াশিং মেশিন কিনি তারপর ২৫০০ র মধ্যেই বিল আসতো, চিমনি ওয়াশিং মেশিন কেনার পর দুবার বিল এসেছে, তাতে কোনো অসুবিধা হয়নি, কিন্তু এই বারের বিলে পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেছে আমাদের, বিশ্বনাথ বাবু বলেন বারবার অফিসে গিয়ে আবেদন করাতেও কোনরকম সুরাহা হয়নি, বরঞ্চ ইলেকট্রিক অফিস তাদের মত একটি চ্যালেঞ্জ মিটার লাগিয়ে বলেছিলেন সবই ঠিক আছে, কিন্তু ৪৫ হাজার বিল। না ভরতে পারায় অবশেষে আমাদের বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গেছে, এখন কথা হচ্ছে একটি সাধারণ পরিবারের যেখানে ২০০০ থেকে ৩ হাজারের মধ্যে বিল আসে, সেখানে হঠাৎ করে ৪৫ হাজার বিল কিভাবে আসে, বিশ্বনাথ বাবুর এই পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশী থেকে এলাকাবাসী সকলেই স্তব্ধ।বিশ্বনাথ বাবুর পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয় তারা কনজ্যুমার ফোরামে এই বিষয়টি জানাবেন।