হুগলি, ১৩ জুলাই:- হুগলি জেলায় ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্য অনিশ্চিত।হুগলি জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোনোর পর একের পর এক পঞ্চায়েতে দেখা গেছে ঘাস ফুল ফুটতে। বিরোধী শিবিরে রীতিমত ধস হুগলি জেলায়। কিন্তু এখন খবরের শিরোনামে হুগলি জেলার ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত। কারণ হুগলি জেলায় ভোটের ফল বেরোনোর পর ত্রিশঙ্কু হয়েছে ছয়টি পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত গুলির মধ্যে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম কোনো রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই এই ছয়টি পঞ্চায়েতে একার পক্ষে বোর্ড গঠন অসম্ভব কোনো রাজনৈতিক দলের। এমন পরিস্থিতিতে সব দলের কাছেই চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে নির্দল প্রার্থীদের জেতা সিট। প্রায় সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে নির্দল সমর্থন ছাড়া কেউই বোর্ড গঠন করার জায়গায় নেই। অনেক জায়গায় রাম বাম এক হয়েও বোর্ড করার পরিস্থিতিতে নেই।
শেষ ভরসা এখন নির্দল। কিন্তু এই জয়ী নির্দলরা এখন কোনদিকে যাবে সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের মতে নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থী,তাই তাদের বেশিরভাগ তৃণমূলের ঘরে ফেরা সময়ের অপেক্ষা,আর নির্দলরা ঘরে ফিরলেই পঞ্চায়েত শাসকদল তৃণমূলের দখলে যাবে, সেদিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বিরোধীরা। আবার অনেকের মতে ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব নির্দলদের জন্য দলের দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ বলে জানিয়ে দিয়েছিল। সেক্ষেত্রে নির্দলদের আবার দলে ফেরানো হয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের। আবার রাম বাম এক হলেও তাদের দিকে যেতে নারাজ নির্দল জয়ী প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। সেদিক থেকে এখন কোন সমীকরণ কাজ করে হুগলি জেলার ছয় পঞ্চায়েতে সেদিকে নজর সকলের।
এরমধ্যে সব থেকে কঠিন পরিস্থিতি হুগলি জেলার উত্তরপাড়া শ্রীরামপুর ব্লকের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। এই পঞ্চায়েতের ফল ত্রিশঙ্কু।এখানে সিট ৩০টি। তার মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ১৪টি সিটে। বিজেপি পেয়েছে ৮টি, সিপিএম পেয়েছে ৫টি, আর নির্দল ৩টি। তাই এখানে রাম বাম এক হলেও বোর্ড করা অসম্ভব । আর তৃণমূলকে নির্দলদের ছাড়া বোর্ড করতে হলে হয় বাম নাহলে রাম করো ঘর ভাঙতে হবে বেশ কয়েকটা। আর বাম বিজেপির ঘর ভাঙা বেশ কঠিন বলেই মনে করছে অনেকে। আবার তৃণমূল নির্দলদের দলে না নিলেও বোর্ড করতে পারবেনা। এমনই কিছু কঠিন অঙ্কের সামনে দাড়িয়ে কানাইপুর পঞ্চায়েত। আর এই পরিস্থিতিতে সব জায়গায় নির্দলরা যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ল সেটা বলাই যায়। এবার সবশেষে এই হুগলি জেলার ছয়টি ত্রিশঙ্কু হওয়া পঞ্চায়েতে শেষ হাসি কে হাসে সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ।