কলকাতা, ১১ জুলাই:- বিক্ষিপ্ত অশান্তির আবহেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। প্রথম পর্যায়ে চলছে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনা। সকাল আটটা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের কড়া পাহারায় গননা শুরু হয়। কিন্তু তার মধ্যেই বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধী এজেন্টদের বাধা দান, মারধর, বোমাবাজি, প্রার্থীদের আটক করে রাখা, অবৈধ জমায়েতের একাধিক অভিযোগ আসতে শুরু করে।উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় তৃণমূল কনগ্রেস এবং বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে মারামারি বাঁধে। ওই ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ। হাওড়ার বালিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে এক বিজেপি কর্মী আহত হন। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনায় দুই পক্ষের দু’জন জখম হয়েছেন বলে দাবি। হরিহরপাড়া থানা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী এবং তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় দুই সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বীরভূমের নানুরে গণনাকেন্দ্রে যেতে সিপিএম কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ করেছে সিপিএম। গণনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়া এবং হুগলি জেলাতেও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে গোলমালের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।