এই মুহূর্তে জেলা

দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া শিশু উদ্ধার চন্দননগরে, গ্রেফতার পাঁচ।

প্রদীপ বসু, ৩০ জুন:- দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া শিশু উদ্ধার চন্দননগর থেকে, গ্রেফতার পাঁচ। গতকাল রাত বারোটায় অভিযোগের পাঁচ ঘন্টার মধ্যে চন্দননগর থেকে উদ্ধার বিক্রি হওয়া শিশু। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুঁচুড়া বড় বাজার বিবির বাগান এলাকায় পিংকি গুপ্তা মামন ওরাও এর পাতানো দিদি। তার বাড়িতে গতকাল দুপুরে জন্মদিনের খাওয়া দাওয়ায় ছয় মাসের ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত ছিল মা বাবা। সেখানে মদ ও মাদকের পার্টি হয়। খাওয়া দাওয়ার পর শিশুর বাবা চলে যায়। মা পিংকির বাড়িতেই ঘুমিয়ে পরে। বিকালে ঘুম ভাঙতে দেখে তার পুত্র সন্তান পাশে নেই।

পিংকিকে জিজ্ঞাসা করলে জানায় ওর বাবা নিয়ে গেছে। শিশুর মা চুঁচুড়া থানায় গিয়ে জানায় তার সন্তান চুরি হয়েছে।পুলিশ তদন্ত শুরু করে। চুঁচুড়া কপিডাঙায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে শিশুর মা বাবা। সেখান থেকে শিশুর বাবা ভীম ওরাওকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভীম জানায় সে তার ছেলেকে নিয়ে যায়নি। এরপর পিংকি ও তার বাড়িতে যারা সেসময় উপস্থিত ছিল তাদের জেরা শুরু করে পুলিশ। শিশু কোথায় কাকে বিক্রি করা হয়েছে কিছুই জানাতে চায়নি তারা। পুলিশ চুঁচুড়া বড় বাজার ও জোরাঘাট এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে।একটি স্কুটারে শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেখা যায়।এরপরই পিংকি ভেঙে পরে। সব স্বীকার করে। পুলিশকে জানায়, দেড় লাখ টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করা হয় চন্দননগরে রমেন দেবনাথের কাছে।

টাকার ভাগ পায় পিংকি ও তার সঙ্গীরা। শিশুটিকে প্রথমে স্কুটারে চাপিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে পিংকির নাবালক ছেলে। পরে অটো করে চন্দননগর বিবিটহাটে রমেনের বাড়ি পৌঁছ দেওয়া হয়। চুঁচুড়া থানার আই সি অনুপম চক্রবর্তীর নেতৃত্ব একটি টিম চন্দননগরে অভিযান চালায়। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে শিশু উদ্ধার করে, গ্রেফতার হয় মোট পাঁচ জন। ধৃত রমেন দেবনাথ, পিংকি গুপ্তা, সঙ্গীতা বিশ্বাস, বেবি অধিকারী ও কাকলি চক্রবর্তীকে আজ চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে শিশু পাচারে একটি চক্র এই কাজে যুক্ত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে