হুগলি, ২৪ জুন:- ছিল স্কুল হল সুস্বাস্থ কেন্দ্র,বৈদ্যবাটিতে এমনই আজব কান্ডে স্কুল তুলে দেওয়ার চক্রান্ত দেখে বিক্ষোভ বিজেপির,স্কুল উঠছে না দাবী পুর প্রধানের।পোর্টালে নাম তুলতেই এমনটা করা হয়েছে। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চক স্টেশন রোডে চক পুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন।সেই স্কুল নীল সাদা রং করে বিদ্যালয়ের নাম মুছে টাঙানো হয়েছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফ্লেক্স। যেখানে এখনো নিয়মিত বিদ্যালয় চলে ছাত্রছাত্রীরা উঠোনে মিড ডে মিল খায়, সেখানে চলবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র।স্বাস্থ কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি নেই।কিন্তু একটা চালু স্কুলের নাম মুছে সেই স্কুলকে কেন স্বাস্থকেন্দ্র করা হবে, এই নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। তাদের আশঙ্কা এরপর বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে।এর প্রতিবাদে আজ বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
বিজেপি কর্মীদের দাবি আলাদা করে জমি কিনে সেখানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হোক কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। হঠাৎ করে এরকম এক পুরনো বিদ্যালয়ের নাম মুছে দেওয়াটা কখনোই ঠিক নয়। চক প্রাথমিক স্কুলে ১২০ জন পড়ুয়া পাঁচজন শিক্ষক আছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,মৌখিকভাবে আমাদের জানানো হয়েছিল পুরসভা থেকে। তারপর একদিন ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখে গেছে।স্কুলের উপরে ঘর হবে সেখানেই চলবে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র।স্কুল থাকবে স্কুলের মত এমনটাই বলা হয়েছে। বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো জানান, বিদ্যালয় বিদ্যালয়ের মতোই চলবে। সরকারি তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি এসেছিল বৈদ্যবাটি পৌরসভায় মোট নটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র পোর্টালে নাম তোলার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যানার লাগানো হয়েছে। যারাই অভিযোগ করছে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ভাবে রাজনীতি করার জন্য কথাগুলো বলছেন। বিদ্যালয়ের সঙ্গে যদি স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলে তাহলে অসুবিধা কোথায়।