কলকাতা, ২ মে:- মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার পরেও পদ্ধতিগতভাবে নতুন নিয়োগে দেরি কেন হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবার কিছু না কিছু পদ সৃষ্টির বা নতুন নিয়োগের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় শূন্যপদ পূরণে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, অর্থসচিব মনোজ পন্থ, ভূমি দপ্তরের সচিব স্মারকি মহাপাত্র। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগের কাজ শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘এমনিতেই আইনি জটিলতায় কিছু চাকরি আমরা দিতে পারছি না।
কিন্তু যেটা আমাদের হাতে রয়েছে, সেক্ষেত্রে নিয়োগ দ্রুত করতে হবে। এই কারণেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে কীভাবে আরও সক্রিয় করা যায়, তা দেখতে ১২২ জনের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে বলে নবান্নসূত্রে খবর।’ এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ইএসআই–তে তিনটি পদ, বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে কোষাধ্যক্ষের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগণার শিশুরাম দাস কলেজের সাতটি সহকারি অধ্যাপক পদ সৃষ্টির জন্য অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কোচবিহারের এবিএনসিল কলেজে পদার্থবিদ্যা বিভাগে এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগে একজন করে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগের মন্ত্রিসভার বৈঠকগুলিতে শুধু স্বাস্থ্যদপ্তরেই ১০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। অন্যান্য দপ্তর ধরলে কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সব পদগুলি এখনও পূরণ করা হয়নি।