এই মুহূর্তে কলকাতা

ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা আগামীকাল।

কলকাতা, ২৯ এপ্রিল:- রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা আগামীকাল নেওয়া হবে। গত বছরের তুলনায় এ বার রাজ্য জয়েন্টে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২৫ শতাংশ। এবছর মোট ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯১৯ জন পরীক্ষার্থী জয়েন্ট পরীক্ষায় বসছেন। বাড়তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যার নিরিখে পরীক্ষাকেন্দ্রর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ২৭৭ থেকে বেড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা হয়েছে ৩০৬। রাজ্য জয়েন্ট এন্টার্নস বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর জানিয়েছেন, এই পরীক্ষা কেন্দ্র গুলির মধ্যে এরাজ্যে রয়েছে ৩০৩টি। বাকি তিনটির মধ্যে দু’টি ত্রিপুরায় অন্যটি অসমের শিলচরে। প্রতিটি কেন্দ্রেই বোর্ডের পর্যবেক্ষকরা থাকবেন। দুই অর্ধে পরীক্ষা হবে। প্রথমার্ধে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা ও দ্বিতীয়ার্ধে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে।পরীক্ষায় বেনিয়ম রুখতে এবার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাধ্যমিকের ধাঁচেই রাজ্য জয়েন্টেও রিয়েল টাইম অ্যাপের মাধ্যমে সেন্টার ইনচার্জদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন। সব পরীক্ষাকেন্দ্রেই থাকছে হ্যান্ড-হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর।

এছাড়া মোবাইল ফোনের মত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম চিহ্নিত করতে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষকদের কাছে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর থাকবে। ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডের কাজ প্রায় শেষ। পরীক্ষা শুরুর আগে অবধি অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। গত বছর ভিন রাজ‍্যের পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩২ হাজার। এ বার তার থেকেও বেশি পরীক্ষার্থী রাজ্য জয়েন্টে বসার জন্যে ফর্ম পূরণ করেছেন। সে জন্য ইতিমধ্যে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল রবিবার ছুটির দিনেও বিশেষ ট্রেন চালাবে। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখাতেও বিশেষ ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা হয়েছে। রেল জানিয়েছে, আজ, শনিবার দুপুর ২টোয় পটনা থেকে ছাড়বে ০৩২৫২ পটনা-হাওড়া এক্সপ্রেস। হাওড়া পৌঁছবে রাত ১১টা ৪৫-এ। আবার পর দিন, রবিবার রাত ১১টায় হাওড়া থেকে ছাড়বে ০৩২৫১ হাওড়া-পটনা এক্সপ্রেস। সোমবার সকাল ১০টায় পটনা পৌঁছবে। যাতায়াতের পথে বখতিয়ারপুর, মোকামা, লাকিসরাই, কিলু, ঝাঝা, জসিডি, মধুপুর, চিত্তরঞ্জন, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, ব্যান্ডেল স্টেশনে দাঁড়াবে ট্রেনটি। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় রবিবার যে সব লোকাল ট্রেন চলে না, জয়েন্টের কারণে সে সব ট্রেনও চলবে। সকাল সাড়ে আটটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকছে। সরকারি বাস পরিষেবাও স্বাভাবিক রাখা হবে।