এই মুহূর্তে জেলা

মার্কিন মুলুকের পর এবার ইউরোপে দেখা যাবে চুঁচুড়ার অভিজ্ঞানের তথ্যচিত্র।

হুগলি, ২৯ এপ্রিল:- চুঁচুড়ার অভিজ্ঞান কিশোর দাসের তৈরি তথ্যচিত্র “আধুনিক ভারতের সুশ্রুত” মনোনীত হয়েছে স্লোভেনিয়ার ‘স্টুডেন্ট কাটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’। আগামী ১১মে স্লোভেনিয়ার লুটমের শহরে প্রদর্শিত হবে তথ্যচিত্রটি। সরকারি আমন্ত্রণ জানান হয়েছে অভিজ্ঞানকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। আড়াই হাজারের মত জমা পড়া চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করা মাত্র পঞ্চাশটি চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে। তার মধ্যে অভিজ্ঞানের তথ্যচিত্রটি একমাত্র বাংলা ভাষায় নির্মিত। তৎকালীন হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা পন্ডিত মধুসূদন গুপ্তর জীবনীর ওপর নির্মিত এই তথ্যচিত্র। পন্ডিত গুপ্ত ছিলেন আধুনিক ভারতের প্রথম শল্যচিকিৎসক। ১৮৩৬ সালে তৎকালীন ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজে তাঁর হাত দিয়েই সূচনা হয় আধুনিক শল্যচিকিৎসার। দশ মিনিটের গবেষণামূলক এই তথ্যচিত্রটি অভিজ্ঞান তৈরি করে ২০২১ সালে করোনার মধ্যেই। ইতিমধ্যে এই তথ্যচিত্রটি চোদ্দটিরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হয়।

গত ফেব্রুয়ারী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া যুব ফিল্ম উৎসবে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে চুঁচুড়ার কিশোরের এই তথ্যচিত্রটি। সেখানেও আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল অভিজ্ঞানকে ফিল্ম মেকার্স প্যানেলে বক্তব্য রাখার জন্য। সম্প্রতি ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আয়োজিত বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘স্পেশাল স্ক্রিনিং’ হয় এই তথ্যচিত্রটির। এর আগে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে হুগলি কলিজিয়েট স্কুলের এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কীর্তি। তার উদ্ভাবিত “বিশেষ স্যানিটাইসিং যন্ত্র” ২০২১ সালে ভারত সরকারের থেকে পেটেন্ট লাভ করে। টানা চারবার বিজয়ী হয় ভারতের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবে। তার নানাবিধ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য। এমন নজরকাড়া সাফল্যে স্বভাবতই খুশি অভিজ্ঞান। সে জানায় “যে কোনও সাফল্য পরবর্তী কাজে প্রেরণা যোগায়। আমি বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্কতা প্রসারে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই”। অভিজ্ঞানের মা প্রিয়াঙ্কা জানান “ছেলে ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মকান্ডে আগ্রহী। ওর উদ্ভাবনগুলো যেন সাধারণ মানুষের উপকারে লাগে”। অভিজ্ঞানের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক সমরেশ ভট্টাচার্য জানান “বিজ্ঞান নিয়ে আরও এগিয়ে যাক অভিজ্ঞান”!