এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূলের হুগলি জেলা কমিটি থেকে পুরনো অনেক নেতাই ব্রাত্য, ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরেই।


হুগলি, ১৩ এপ্রিল:- গত বুধবার হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিটি শাখার সংগঠনের নেতৃত্বের নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকে এই জেলায় অনেক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো দিনের কর্মীদের মধ্য ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চুঁচুড়া দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ৭০ জনের জেলা কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস, যুব তৃণমূল কংগ্রেস, এবং আইএনটিটিইউসির কমিটি ও ঘোষণা করা হয় এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে। তারপর থেকেই হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতা এবং কর্মীরা জানিয়েছেন আমরা যারা প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল দল করছি তাদের কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্মান দেয়া হচ্ছে না।

বুধবার হুগলির যে কমিটি বেরিয়েছে তাতে বহু এমন নাম রয়েছে যারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার বহু পরে দলে এসে দলীয় পদে বসে লাঠি ঘুরাচ্ছে। অভিমানী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ এই কমিটিতে বড় ব্যবসায়ী জমির দালাল তার বহাল তবিয়তে দলে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন যাদের সঙ্গে মাটির কোন যোগাযোগ নেই। তাদের অভিযোগ অথচ বৈদ্যবাটি পুরসভার ৬ বারের জেতা সদস্য, পাঁচবারের টাউন প্রেসিডেন্ট প্রবীর পাল তাকে কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেয়া হয়েছে, কেবলমাত্র গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তার সঙ্গে সঙ্গে ৩৪ বছরের যে সিপিএম অপকর্ম চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করছেন সেই সময় এই ধরনের গোষ্ঠী কোন্দল দলকে আরো বেশি দুর্বল করবে বলে তারা মনে করছেন।