কলকাতা, ৩০ মার্চ:- বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিতে এর প্রাচিনত্ব সংক্রান্ত প্রামাণ্য নথি সহ রাজ্য সরকার শীঘ্রই কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাবে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীন ভাষা শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র আইএলএসআর- বাংলার প্রাচীনত্বের নমুনা সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্য রিপোর্ট প্রস্তুত করছে। যা আগামী মে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে বলে ওই প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। তারপরেই বাংলা ভাষা দেশের সপ্তম ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে তকমা পায় তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে আবেদন জানানো হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত দেশের ছ’টি ভাষা কেন্দ্রের কাছ থেকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতির দাবিও জোরালো হয়ে উঠেছিল। যুক্তি ছিল, ওড়িয়া এই তকমা পেলে বাংলারও পাওয়া উচিত। এখন নবান্ন সূত্রেই জানা গিয়েছে বাংলার ‘ধ্রুপদী ভাষা’র তকমা পাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা ভাষার ওপর গেরুয়া ব্রিগেড যেভাবে আক্রমণ চালিয়েছিল তার মক্ষোম জবাব দিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা ভাষাকে নিয়ে গবেষণা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। কিছু অফিসিয়াল কাজকর্ম বাকি রয়েছে মাত্র। তারপরে এটি রাজ্য সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রকে জমা পড়বে। প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, তামিল সর্বপ্রথম দেশের মধ্যে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছিল। তারপর ধাপে ধাপে সংস্কৃত, কন্নড়, তেলুগু, মালয়ালম এবং ওড়িয়া এই স্বীকৃতি পায়। মারাঠিকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও বেশ তুঙ্গে। এখন বাংলা ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেলে, ইউনেস্কোর দুর্গাপুজোকে দেওয়া হেরিটেজ স্বীকৃতির চেয়ে সেটা কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।