এই মুহূর্তে জেলা

অন্নপূর্ণা মাকালু অভিযানেও সাহায্যের আবেদন এভারেস্ট জয়ী পিয়ালীর।


হুগলি, ১৫ ফেব্রুয়ারি:- গত বছর মে মাসে এভারেট আর লোৎসে এক সঙ্গে জয় করেছিলেন চন্দননগরের পিয়ালী বসাক।এবার অন্নপূর্ণা এবং মাকালু পৃথিবীর দশম ও পঞ্চম উচ্চ শৃঙ্গে আহরোণ করবেন। ৯ মার্চ রওনা হবেন। এই অভিযানে প্রয়োজন ত্রিশ লাখ টাকা। এভারেস্ট অভিযানের টাকা উঠেছিল ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে।অন্নপূর্ণা অভিযানের টাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিভাবে টাকার সংস্থান হবে জানা নেই। কোনো স্পন্সর এগিয়ে আসেনি তার জন্য। সরকার যদি সাহায্য করে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন পর্বতারোহী। কাঁটাপুকুরের বাড়িতে অসুস্থ বাবা। মা বোনকে নিয়ে চারজনের সংসার।ওষুধ পথ্যের খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়।

চন্দননগর কানাইলাল প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন পিয়ালী।কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার তার জন্য আরেকটু ভালো চাকরির ব্যবস্থা করলে ভালো হয় বলে মনে করেন পিয়ালী। শত প্রতিবন্ধকতা আছে, আছে আর্থিক সমস্যা তা সত্ত্বেও পর্বতারোহণে বেরিয়ে পড়েন ছোটো খাটো চেহারার পিয়ালী। অক্সিজেন ছাড়া পাহাড় চড়ার অভ্যাস তার সহজাত। শরীরে ওজন মাত্র ৪২ কিলোগ্রাম।হালকা ওজন আর ফুসফুসের প্রাকৃতিক ক্ষমতা পিয়ালীকে অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে।অনেক বিপদ থেকেও ফিরেছেন।শুধু এভারেস্ট জয় করে তাই থেমে থাকতে চাননা পিয়ালী

আরো অনেক দূর যেতে হবে তাকে। আট হাজারি শৃঙ্গ গুলো একে একে জয় করতে শত বাধা পেরিয়ে যেতে চান পিয়ালী বসাক, তাই তার পাশে থাকার আবেদন করেন পিয়ালী। পিয়ালীর শিক্ষক সনৎ ঘোষ বলেন,এভারেস্ট জয় করা কঠিন কাজ তার চেয়েও কঠিন দেশ বিদেশে থাকা ১৪ টা দূর্গম আট হাজারি শৃঙ্গগুলোর শীর্ষে ওঠা। সেই কাজটাই করতে চায় পিয়ালী।সাধারণত ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্সে যারা আসে পৌঁছানো খুব কঠিন। যখন কোন স্পন্সর থাকেনা তখন ক্রাউড ফান্ডিং এর প্রয়োজন হয়।ক্রমশ এই অ্যাডভেঞ্চারে খরচ বাড়ছে।