এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়াও হাম এবং রুবেলা ভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।

হাওড়া, ৫ জানুয়ারি:- হাম এবং রুবেলা ভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। হাওড়া জেলাতেও শুরু হয়েছে তৎপরতা। আগামী ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে শুরু হচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে হাম-রুবেলা টিকাকরণ অভিযান। হাওড়া শহরে বসবাসকারী সকল শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেই এই টিকাকরণ কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। সব স্কুলের পাশাপাশি সব অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র, সরকারি হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পথশিশুদের জন্য আনুমানিক ২ লক্ষেরও বেশি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এই পরিকল্পনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠক করা হয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে। উল্লেখ্য, ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুদের এই টিকা দেওয়া হবে বিনামূল্যে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিতাই চন্দ্র মন্ডল বলেন, হাম এবং রুবেলা দুই ভাইরাস জনিত সংক্রামক মারণ রোগ। কিন্তু এই দুই রোগই টিকাকরণের দ্বারা আটকানো সম্ভব। এই টিকা সারা পৃথিবীতে বহু বছর যাবত সমস্ত শিশুদের নিয়মিত টীকাকরণের মাধ্যমে দেওয়া হয়।

ভারতবর্ষ ও সারা পৃথিবীতে হাম শিশুমৃত্যু তথা শিশুর অসুস্থতার এক প্রধান কারণ। রুবেলা সংক্রমণ থেকে সরাসরি মৃত্যু না ঘটলেও গর্ভবতী মায়েদের রুবেলা সংক্রমণ হলে ৯০% শিশুর বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভারতবর্ষ তথা পৃথিবী থেকে হাম ও রুবেলা দূর করতে নিয়মিত টিকাকরণের মাধ্যমে হাম ও রুবেলা টিকার সঙ্গে সঙ্গে নয় মাস থেকে পনেরো বছর পর্যন্ত শিশুদের একটি অতিরিক্ত টিকার ডোজ দেওয়া খুবই জরুরী। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে সারা রাজ্যে ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এমআর এর একটি অতিরিক্ত ডোজ দেওয়া হবে। এই এমআর টিকা পাওয়া যাবে নিকটবর্তী বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে। টিকা দেবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই টিকার কোনও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। হাওড়ায় এই টিকা দেওয়া হবে ১১ লক্ষ ৭৭ হাজার ১২৩ জনকে। স্কুলে পড়ে এমন ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৬৪ জন বাচ্চাকে এই টিকা দেওয়া হবে। ৩,৯২৮টি স্কুলে টিকা দেওয়া হবে। ৪,৩৬৬টি স্কুল সেশন হবে। টোটাল সেশন হবে ৯,৫১০টি। ভ্যাকসিনেটরের সংখ্যা ৯৪২ এবং সুপারভাইজারের সংখ্যা এখানে ৪০৬ জন। আমাদের লক্ষ্য এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা।