এই মুহূর্তে কলকাতা

দুদিনের মধ্যে আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ির অনুমোদন দিতে হবে জেলাগুলিকে।


কলকাতা, ২৮ ডিসেম্বর:- দু’দিনের মধ্যে আবাস যোজনা প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ বাড়ির অনুমোদন দিতে হবে জেলাগুলিকে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে এই প্রকল্পে সুবিধা প্রাপকদের নামের চূড়ান্ত তালিকা আবশ্যিকভাবে পাঠানোর জন্য সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।বুধবার আবাস প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে মুখ্যসচিব বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে এখনও পর্যন্ত আবাস যোজনার অধীনে ১ লক্ষ ৮১ হাজার বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে বাকি ৮৪ শতাংশ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।কারণ কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের ৩১ মার্চ অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যেই রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার অধীনে ১১ লক্ষ চব্বিশ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে। সূত্রের খবর, সংশোধন করে এই মুহূর্তে ৩৯ লক্ষের মতো উপভোক্তার নাম যোগ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঠাঁই পেয়েছে। কিন্তু ৩৯ লক্ষ উপভোক্তা ঠাঁই পেলেও তার ভিতর থেকে সমস্ত শর্ত পূরণ করে মাত্র ১১লক্ষ ৩৬ হাজােরের মতো উপভোক্তাই আবাস যোজনায় বাড়ি পাবেন।

এই প্রাপকদের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশ উপভোক্তার আবেদন মঞ্জুর করেছে জেলাগুলি।তাই তাদের যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজ শেষ করার জন্য় এদিন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুরের মত জেলাগুলিতে আবাস যোজনার অধীনে আগের তালিকার ৪০ শতাংশেরও বেশি নাম বাদ গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিবের বার্তা, দুদিনের মধ্যেই আপনারা দ্রুত কাজ শেষ করুন। প্রয়োজন হলে দিনরাত জেগে কাজ করুন। রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনা বিক্ষোভের আবহে মুখ্যসচিবের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যের বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে প্রকল্প রূপায়ণের রূপরেখাও তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য। জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো এই রূপরেখায় পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে তালিকা মাফিক অর্থ বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। এ জন্য এখন থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বাড়ি নির্মাণের জন্য ইটভাটা থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের ইট সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।এ ছাড়াও নির্মাণের জন্য অন্যান্য কাঁচামাল সরাসরি ডিলার বা সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কেনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্মাণের কাজ নজরদারি করতে ব্লক স্তরে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে।যার লক্ষ্যই হল উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করা। প্রত্যেক মাসে ১০ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত আবাস সপ্তাহ করে এই নির্মাণের কাজে তদারকি করতে। উপভোক্তাদের মধ্যে গৃহহীনদের জন্য সরকারি জমি চিহ্নিতকরণের কাজ বিএলএলআরওদের দ্রুত পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ব্লক থেকে মহকুমা ও জেলাশাসক স্তরে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে।বরাদ্দ টাকা খরচের আগে বাড়ি ধরে ধরে জিও ট্যাগিং বাধ্যতামূলক।পরিদর্শনে যাওয়ার সময় জিও ট্যাগিং করতে হবে। তিন দফায় এই নির্মাণের টাকা দেওয়া হবে। প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় করতে হবে। স্বচ্ছ ভারত মিশন বা মনরেগার টাকায় এই শৌচালয় তৈরি করে দিতে হবে। বাড়ির চার দিকে বায়ো ফেন্সিং বা গাছ দিয়ে বেড়া দিতে হবে। যাতায়াতের পথ করে দিতে হবে। ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকায় ওই কাজ করতে হবে।