এই মুহূর্তে জেলা

ভূমিহীন মানুষদের নাম সরকারি আবাস যোজনায়, যাচাইয়ে বেরিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।


সুদীপ দাস, ১৪ ডিসেম্বর:- পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারি আবাস যোজনায় স্বচ্ছতা আনতে যাচাইয়ে নামানো হল পুলিশকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তদারকিতে নেমে বুধবার চুঁচুড়া থানার পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। এদিন কোদালিয়া ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হুগলী স্টেশন সংলগ্ন সুভাষপল্লী এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। রেল লাইন বরাবর সুভাষপল্লীর একটি বড় অংশে রেলের জমিতেই বাসস্থান গড়ে উঠেছে। রেলের জমি হওয়ায় সেখানকার কারোরই জমির পাট্টা নেই। সরকারি আবাস যোজনার ঘর পেতে নিজের নামে জমি আবশ্যিক। কিন্তু এখানে চিত্রটা অন্যরকম। পাট্টাহীন মানুষদের নামই উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায়। স্থানীয় বাসিন্দা শেফালি রায় পুলিশ আধিকারিকদের জানান আমফানে তাঁর ঘর ভেঙে গেলেও স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনরকম সুযোগ-সুবিধা তিনি পাননি। অথচ বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় জমিহীন শেফালিদেবীর নাম এসেছে।

রেলের জমিতে বসবাস করা আর এক বাসিন্দা রূপকুমারী বিশ্বাস বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতে আবেদন করে আসছি কিন্তু নিজের জমি না থাকলে সরকারি বাড়ি পাওয়া যাবে না বলে পঞ্চায়েত আমাকে জানিয়েছে। এবিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস বলেন ২০১৮সালে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো কাঁচা বাড়ির একটি তালিকা আমরা সরকারকে পাঠিয়েছিলাম। সেই তালিকায় রেলের জমিতে বসবাসকারী কাঁচা বাড়ির মানুষদের নামও ছিল। সেই অনুযায়ী নাম আসতে পারে। তবে সরকারি আবাস যোজনার জন্য ভূমিহীন মানুষদের আবেদন পঞ্চায়েত নেয়নি বলেই দাবি করেন বিদ্যুৎবাবু। অন্যদিকে এবিষয়ে বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বৈদিক পার্থ নারায়ন ভট্টাচার্য্য বলেন শুধু একটা অঞ্চল নয় গোটা রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল সরকার।