কলকাতা, ৮ নভেম্বর:- রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এদিন ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরবর্তী পদক্ষেপে নিয়ে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যসচিব সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বেঠক করেন মুখ্যসচিব। জেলায় জেলায় চিকিৎসক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ডেঙ্গি মোকাবিলায় জেলাশাসকদের এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। নজরদারির পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। কোথায় কোথায় আবর্জনা জমছে, তা নিশ্চিত করতে মহকুমাশাসক বা বিডিওদের মাঠে নামাতে হবে। জেলায় জেলায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি চিকিৎসক দল যাতে আরও বেশি করে নজরদারি করে, তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকদের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সতর্ক হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসককে শিলিগুড়ি এলাকার ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে বিশেষ নজর দিতে বলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
ইতিমধ্যে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। গতকালই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এই পরিস্থিতিতে সরকার থেকে প্রশাসন যতেষ্টই উদ্বেগে। প্রশাসনের তরফে একাধিক কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এদিনের বৈঠকেও বেশকিছু নির্দেশিকা জারা করা হয়েছে। আগামীতে পরিস্থিতি কতটা ঠিক হয়, সেদিকেই নজর থাকবে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিশেষ নজর দিতে বলেন মুখ্য সচিব। এ নিয়ে দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক কে তিনি কড়া নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি জেলার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। পিছিয়ে নেই শিলিগুড়ি। প্রতিদিন রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি টিম পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যাবে বিশেষ টিম । রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই দলের কাজ মূলত, এলাকায় এলাকায় গিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন তা খতিয়ে দেখা। পাশাপাশি নির্দিষ্ট জেলায় কেমনভাবে চলছে ডেঙ্গুর চিকিৎসা, ফিভার ক্লিনিক কেমন চলছে, সেগুলি ঠিক মতো কাজ করছে কিনা এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে ওই দল। এই নজরদারি দলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকবেন।