হাওড়া, ১৫ অক্টোবর:- সাতসকালে দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উলুবেড়িয়ার জগৎপুর জোড়া কলতলা এলাকা। ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ হয়। পুলিশ ও র্যাফ ঘটনাস্থলে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগনানে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য জোড়া কলতলাতে জাতীয় সড়কের পাশে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন মা অপর্ণা পাড়াল (৪০) ও মেয়ে টুসু পাড়াল (১০)। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ফাঁকা অ্যাম্বুলেন্স দু’জনকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই এদের মৃত্যু হয়। এরপরই অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক পলাতক। দুর্ঘটনার পর মৃতদেহ আটকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছে উত্তেজিত জনতা। রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ।
বাগনান থানা ও উলুবেড়িয়ার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। এর জেরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যে অ্যাম্বুলেন্স মানুষের প্রাণ বাঁচায় সেই অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন মৃতদেহ আটকে রেখে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সটি। স্থানীয়দের অভিযোগ আন্ডারপাস না থাকায় ওই এলাকায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাঁরা আন্ডারপাসের দাবি জানান। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বিশাল পুলিশ কমান্ড ফোর্স, র্যাফ ও দমকলের আধিকারিকরা। এলাকার মানুষের দাবি যতক্ষণ না লিখিতভাবে আন্ডারপাসে আশ্বাস তারা পাচ্ছেন এইখান থেকে তারা অবরোধ তুলবেন না। মৃতদেহ তুলতে দেবেন না। ঘটনার জেরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।