সুদীপ দাস, ১২ অক্টোবর:- এই হল নির্মল বাংলার নির্মল হাসপাতালের ছবি। হুগলীর জেলা হাসপাতাল চুঁচুড়া সদর হাসপাতাল। আনুপাতিক রোগীর সংখ্যা ৬০০-র বেশী। এই হাসপাতালের একতলায় রয়েছে পুরুষদের সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। এমএস-২ তে মোট বেড রয়েছে ৪৩টি। প্রয়োজনে নীচেও রোগী রেখে চিকিৎসা করা হয়। সেক্ষেত্রে রোগীর সংখ্যা কোন কোন সময় ৭০ ছাড়ায়। এতগুলো মানুষের জন্য ৩টি শৌচাগার। একটির দিকে তাকালে বমি করা ছাড়া গতি নেই। একটিতে দরজা নেই। আর একটিতে দরজা আছে বটে কিন্তু বন্ধ হয় না। রোগীরা সেই শৌচাগারে বসেই কোনরকমে প্রয়োজনীয় কর্ম করেন। বাকি স্নানাগার, প্রস্রাবের স্থান সাদা টাইলস কবে যে কালো হয়েছে তা বোঝা বড় দায়। সমগ্র বাথরুম জুড়ে আবর্জনা। সুস্থ হতে এসে মানুষ এখানেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
এম এস টুতে ঢুকে ডানদিকের জানালা খুললেই মনে হয় সারা রাজ্যের মশার আঁতুড় ঘর বোধ হয় এটাই। ডেঙ্গুর সময়ে খোদ সদর হাসপাতালের এই অবস্থা। সাধারণ গরীব মানুষগুলো বাধ্য হয়ে এখানে চিকিৎসা করাতে আসছেন। চিকিৎসাধীন তাই ভয়ে এদিন ক্যামেরার সামনে রুগী কিংবা রুগীর পরিবার কিছু জানাতে চায়নি। তাঁরা এদিনও জানালা দিয়ে অবাধেই আসা বিড়াল তাড়াতে ব্যস্ত রইলেন। যদিও এবিষয়ে এদিন হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মন্ডলের এক কথায় উত্তর আমাকে রুগীর পরিবারের লোকেরা কেউ জানায়নি। আচ্ছা এটা বলে কি একজন হাসপাতাল সুপারের দায় এড়ানো সম্ভব! এখনও গ্রাম থেকে আসা বহু গরীব মানুষ জানেই না একটি হাসপাতালের সর্বোচ্চ আধিকারিক সুপারিন্টেনডেন্ট। আর যারা জানে সেইসমস্ত মানুষরা হাসপাতালে এসে রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে না হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে সুপারের খোঁজ করে অভিযোগ জানাবে?