এই মুহূর্তে জেলা

করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে হাওড়ার ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন। গর্ব বাড়ালেন অলিম্পিয়ান অরুণ ঘোষ, ফুটবলার কোচ রঘু নন্দীরা।

হাওড়া, ৮ মে:- করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে হাওড়ার ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন হল রবিবার সকালে। প্রাক্তন অলিম্পিয়ান অরুণ ঘোষ, ফুটবলার কোচ রঘু নন্দীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে আলাদা মাত্রা যোগ করে। খেলাধুলো শরীরকে সতেজ রাখে। করোনাকালে বাড়িতে বসে থেকে থেকে সবারই হাড়, কলজেতে যেন মরচে ধরে গিয়েছিল। সবে ধীরে ধীরে সেই মরচে ছাড়া শুরু করেছে। অনেকেই এখনও সেখান থেকে বেরোতেই পারেননি। সেই দায়িত্বটাই যেন নিলেন হাওড়ার ব্যাঁটরা ইয়ং অ্যাথলেটিক ক্লাব। এক দিকে ক্লাবের ১০০ বছর, অন্যদিকে আবার করোনা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে সবাই বেরিয়ে একত্রিত হয়ে আগামী ১০০র পথে এগিয়ে যাওয়া। হাতিয়ার যেন সেই খেলাধুলো। তাই তো তাঁরা ক্লাব প্রাঙ্গনে হাজির করেছিলেন অরুণ ঘোষ, রঘু নন্দী, রাজদীপ নন্দীর মতো ফুটবলারদের। রবিবার ৮ মে ক্লাবের ১০০ বছর উদযাপন হল। বৃক্ষরোপণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ক্লাবের মহিলারা। এরপর হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিল ক্লাবের বিশাল ফুটবল দল, ছিল ক্যারাটে প্রশিক্ষণের দল। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ৮ টায়, ১০০ বছরের ঘট স্থাপনের মাধ্যমে। এরপর অলিম্পিয়ান এবং এশিয়াডে ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করা ফুটবলার অরুণ ঘোষ প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যান। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস হাজরা। এই প্রসঙ্গে রঘু নন্দী বলেন, “১০০ বছর মানেই একটা অন্য গুরুত্ব। তার সঙ্গে যদি খেলাধুলো জড়িত থাকে তাহলে তা অন্য মাত্রা পায়।

করোনাকালে সব বাচ্চারা ঘরে থেকে থেকে মোবাইল গেমে আরও বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছিল। ব্যাঁটরা ইয়ং অ্যাথলেটিক ক্লাব সেখান থেকে তাদের বার করে নিয়ে আসার দায়িত্ব নিয়েছে। এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারে সত্যিই ভালো লাগছে।” প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সমাজসেবী বিভাস হাজরা বলেন , “এই একশো হল ম্যাজিক ফিগার। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলা, ১০০ গোল করা সব কিছুরই দেখবেন একটা অন্য মাত্রা পায়। ব্যাঁটরা ইয়ং এথলেটিক ক্লাব সেই ১০০কে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। আগামীর পাথেয় করে রাখতে বৃক্ষরোপণ করেছে। তার সঙ্গে এই যে খেলাধুলোর বিশেষ যোগ, করোনার জন্য এসব তো উঠেই যাচ্ছিল। মাঠগুলো কাঁদছিল। এই ক্লাবের ও ছেলেরা তোরা কেন খেলা ছেড়ে শুধু পড়তে যাস? এই বলে ডেকে এনেছে। এই ঢাক বাজছে, উলু ধ্বনি, এ এক দারুণ আবহ। এমন মুহূর্তের অংশ হতে পারে আমি গর্বিত। হাওড়া খেলার জায়গা। সেইটা এই ক্লাব ফিরিয়ে দিচ্ছে দেখে আরও ভালো লাগছে। রঘু নন্দী , অরুন ঘোষ এরা বাংলা ফুটবলের গর্ব। আজকের প্রজন্মকে ওদের জানতে হবে। সেই দায়িত্ব এই ক্লাব নিয়েছে, এক কথায় তা অসাধারণ।” ক্লাবের বিশিষ্টজনদের সম্মান জানিয়ে এদিন হয় ববর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। যা শুরু হয় শিক্ষানিকেতন বয়েজ স্কুলের পাশের অবস্থিত ক্লাবের মাঠ থেকে। গান, নাচ, ব্যান্ড, ক্লাবের ফুটবল ও ক্যারাটে দলকে নিয়ে শোভাযাত্রা পাওয়ার হাউস দিয়ে লক্ষীনারায়ণ চক্রবর্তী লেন, ইছাপুর মোড় হয়ে ফিরে আসে ক্লাবের মাঠে। এদিন সন্ধ্যেতেও রয়েছে বিশেষ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।