এই মুহূর্তে জেলা

রামকৃষ্ণদেবের পিসির বাড়ির সংরক্ষনের দাবী তুললেন এলাকার মানুষ।

মহেশ্বর চক্রবর্তী , ৯ জুন:- ভারতবর্ষের অন্যতম তীর্থ ভুমি হলো কামারপুকুর মঠ ও মিশন। এখানেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করে।গোঘাটের এই পবিত্র ভুমিকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস। কামারপুকুর থেকে ২০ কিমি দূরে সেলামপুর গ্রাম। এখানেই ছিল ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পিসি রামশীলাদেবীর বাড়ি। এখনো সেই বাড়ির ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে। এই বাড়িটি সংরক্ষণ করার দাবী তুলছেন এলাকার মানুষ। এই দালান বাড়িকে ঘিরে রয়েছে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের পদধুলি। তাই স্থানীয় মানুষের দাবী এই পবিত্র পুর্নভুমিকে সরকারি ভাবে সংরক্ষণ ও সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হোক। এটি সংস্কার করলে একদিকে যেমন পর্যটকরা পুর্নভুমি সেলামপুরের দুর্গা দালান দর্শন করতে পারবেন তেমন শ্রীরামকৃষ্ণের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের দেহত্যাগের ভুমিকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা যাবে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৪২ খ্রী: দুর্গাপুজোয় গিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পিতা ক্ষুদিরাম চট্ট্যোপাধ্যায় দেহত্যাগ করেছিলেন। সেলামপুরে ভাগ্নে রামচাঁদ বন্দ্যাপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে মামা ক্ষুদিরাম চট্ট্যোপাধ্যায় জ্যেষ্ঠপুত্র রামকুমারকে নিয়ে এসেছেন দুর্গোৎসবে। পুজো চলাকালীনই অঘটন ঘটে যায়। মন্ত্র শুনতে শুনতেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়। ঠাকুর দালানেই নাকি তিনি দেহত্যাগ করেন। রঘুবীরের উপাসক ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের দেহ ত্যাগ করা দালান বাড়িটি তাই স্থানীয় মানুষ সংস্কারের দাবি তোলে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক প্রবীন মানুষ জানান, গোঘাটের অন্যতম পবিত্র ভুমি হলো সেলামপুরের দুর্গা দালান। এই দালান বাড়িটিকে ঘিরে নানা ইতিহাস রয়েছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের এটি পিসিবাড়ি। শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় প্রায় আসতেন। দুর্গা পুজো চলাকালীন তিনি দালানেই দেহত্যাগ করেন। এই রকম এক পুর্নভুমির সংস্কার করা প্রয়োজন। সবমিলিয়ে এখন দেখার এলাকার মানুষের স্বার্থে সেলামপুরের পবিত্র ভুমি সংস্কার হয় কিনা।