এই মুহূর্তে জেলা

দশ মিনিট দেরি হওয়ায় পরীক্ষায় বসতে পারলো না ছাত্র। প্রতিবাদে অবরোধ জাতীয় সড়কে।


হাওড়া, ৫ মে:- স্কুলে দশ মিনিট দেরিতে আসায় দশম শ্রেণীর অঙ্ক পরীক্ষায় বসতে পারল না সিবিএসসি বোর্ডের এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার আলমপুরের এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে অভিভাবকরা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে ডোমজুড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, হাওড়ার আলমপুরের ওই স্কুলে সিবিএসসি বোর্ডের দশম শ্রেণীর অঙ্ক পরীক্ষার সিট পড়ে। এক পরীক্ষার্থী দশ মিনিট দেরিতে মায়ের সঙ্গে স্কুলে পৌঁছায়। সেই পরীক্ষার্থীর মা জানিয়েছেন, রাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়া এবং ট্রাফিক জ্যামের কারণে স্কুলে পৌঁছাতে তাদের দশ মিনিট দেরি হয়। সিবিএসসি বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী সাড়ে দশটায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অ্যাডমিট কার্ডে দশটার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের স্কুলে ঢোকার কথা বলা হয়েছে।

এই যুক্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রকে স্কুলে ঢোকার এবং পরীক্ষায় বসার কোন অনুমতি দেয়নি। অপেক্ষা করার পরেও ওই ছাত্রটিকে স্কুলে ঢুকতে না দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য অভিভাবকরাও। এর প্রতিবাদে তারা সকলে মিলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। দশ মিনিট অবরোধের পর অবরোধকারীদের পুলিশ আশ্বাস দেয় ওই ছাত্রকে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করা হবে। অভিবাবকরা এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে ওই ছাত্রের পরীক্ষার বসার অনুমতি চাওয়া হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়নি। ছাত্রের মা স্বীকার করেছেন তিনি দশ মিনিট দেরিতে স্কুলে পৌঁছান। সেকথা স্কুলকে আগেই জানানো হয়েছিল।

তারা যখন স্কুলে পৌঁছান তখন কিন্তু পরীক্ষা শুরু হয়নি। তাছাড়া ওই ছাত্র স্পেশ্যাল চাইল্ড। তাই মানবিকতার খাতিরে ওই ছাত্রটিকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্যান্য অভিভাবকরাও একই সুরে বলেন এটা বোর্ডের পরীক্ষা। যেহেতু পরীক্ষা শুরু হয়নি তাই ছাত্রটিকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া উচিৎ ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের। এদিকে স্কুলের প্রিন্সিপাল বিজয়লক্ষ্মী কুমার জানিয়েছেন সিবিএসসি’র নিয়ম অনুযায়ী সাড়ে দশটায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দশটার মধ্যে সব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার কথা। অ্যাডমিট কার্ডে তা বলা আছে। ওই ছাত্র দেরিতে আসায় তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই ছাত্রের ব্যাপারে বোর্ডই একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে।