এই মুহূর্তে কলকাতা

অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে জট কাটল দেউচা পাঁচামি খনি প্রকল্পের।

কলকাতা, ১৩ এপ্রিল:- মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দেউচা পাঁচামির খনি প্রকল্পের জট কাটল। ওই প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আশ্বস্ত হয়ে আন্দোলনের রাস্তা থেকে আপাতত সরে আসার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা৷ তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের৷ রাজ্য সরকারের এই কয়লা খনি প্রকল্পে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা৷ যদিও ইতিমধ্যে দেউচা পাঁচামির জমিদাতাদের নবান্নে ডেকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

মাসখানেক আগেই ২০৩ জনকে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এমত অবস্থায় বুধবার বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ওই সংগঠনের ৯জন প্রতিনিধি এদিন নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সমস্যা ও দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধিরা খুশি। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দিয়েছেন, আপাতত আর আন্দোলন হবে না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে এলাকায় ফিরে আন্দোলনকারীরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিরোধীরা নানাভাবে এই প্রকল্পের বিরোধীতা করছে।

তারা চায় না ১ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হোক। বিরোধী দলগুলি এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, এ ব্যাপারে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি সব এক। সম্প্রতি বিধানসভাতেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দেউচা পাঁচামিতে কোনও আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না। আন্দোলনকারীদের পক্ষে শাদি হাঁসদা বলেন সেখানে প্রকল্প করার আগে রাজ্য সরকার তাদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা করেনি। জেলা প্রশাসনের তরফে জোর করে ভয় দেখিয়ে তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কয়েক পুরুষ ধরে তারা ওই গ্রামে বসবাস করছে বলে জানিয়ে সেখানকার জল, জঙ্গল তাদের অধিকার বলেও দাবি করেন তারা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সমস্ত কথা শুনেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই আন্দোলনকারীরা।