এই মুহূর্তে জেলা

দুটি মৃতদেহ কোথায় গেলো , জবাব দিদিকেই দিতে হবে। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন বিমানের।

হাওড়া, ২৩ মার্চ:- “আরও ২টো বডি কোথায় গেল বলতে পারবেন তো দিদি। দমকল বলছে দশটা বডি আর দিদি বলছেন আটটা বডি। এর জবাব তো দিদিকেই দিতে হবে।” হাওড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন বিমান বসু। দু’দিন ব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে বুধবার সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশনে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে এদিন কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বাম নেতা বিমান বসু। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ওখানে গিয়ে যা দেখলাম তার কিছু কথা এখানে বক্তব্যে বললাম। যে ধরনের গণহত্যা ওখানে সংঘটিত হয়েছে এর কোনও কিছু ব্যাখ্যা করা যায় না। এখানে আমি উল্লেখ করলাম পুলিশ এত দেরি করে এলো কেন? সব কিছু হয়ে যাবার পর পুলিশ এল। এইভাবে যদি শাসকদল পুলিশকে ধরে আটকে রাখে তাহলে আমাদের রাজ্যের মানুষের পক্ষে ক্ষতি হবে, নতুন প্রজন্মের কাছে কুশিক্ষা হবে, দেশের মানুষের কাছে আমাদের মুখে চুনকালি পড়বে। আমাদের তো মনে হয় পুলিশ অনেক পরে গেছে।

দমকল অনেক আগে গেছে এবং দমকলের কাজটাকে সবাই প্রশংসা করছে। ওখানে মানুষ কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। একটু অদূরে পাশেই যে বাড়ি সেখানে মহিলার সঙ্গে কথা বললাম। তার কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ কে কি মনে করবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কি বোমা গুলির শব্দ পেয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ বোমা গুলির শব্দ পেয়েছি। আগুনে দাউদাউ করে জ্বলছে দেখেছি। জিজ্ঞেস করলাম পুলিশ কখন এসেছে ? ওই মহিলা বললেন এটা জিজ্ঞেস করবেন না। এত ভয় পাচ্ছে উনি।” বিমানবাবু আরও বলেন, “আরও ২টো বডি কোথায় গেল বলতে পারবেন তো দিদি। দমকল বলছে দশটা বডি আর দিদি বলছেন আটটা বডি। এর জবাব তো দিদিকেই দিতে হবে। যাদের বাড়িতে বডিগুলো ফেরত দেওয়া হচ্ছে তারা কেউ কাউকে চিনতে পারছেন না। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে যাচ্ছে। বডি চিহ্নিতকরণের মতো কোনো কোনও সুযোগ নেই। এমনভাবে মেরেছে আর এমনভাবে এদের পোড়ানো হয়েছে যাতে চেনাই যায় না।”